ভূরুঙ্গামারীতে করোনা প্রতিরোধে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন ,পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। কিন্তু ভূরুঙ্গামারীতে মানুষ ঘরে থাকছে না, মানছে না প্রশাসনের বিধি নিষেধ। ব্যাংক গুলোতে দেখা গেছে গ্রাহকদের উপচেপড়া ভীড়।
এদকে, উপজেলার হাট বাজারে ও কাপড়ের দোকান গুলোতে সামজিক দূরত্ব বজায় না রেখে ক্রয়-বিক্রয়ে মেতে উঠেছে ক্রেতা-বিক্রেতারা।
উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলার সব কটি হাট বাজার পূর্ববতী স্থান থেকে সরিয়ে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের মাঠে স্থানান্তর করে।
মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুরে ভূরুঙ্গামারী বাজারে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতার উপচেপড়া ভিড়। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে কেনাকাটা করছে। প্রথমদিকে ক্রেতা-বিক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চললেও ইদানিং সামাজিক দূরত্ব মানছে না। ফলে করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কোভিড-১৯ সন্দেহে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পাঠানো হয়েছে ১০২ টি। প্রাপ্ত ফলাফল ৭১। এর মধ্যে তিনটি ফলাফল কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে। যাতে ১৬ বছরের একজন কিশোর, ৩০ বছরের এক জন পুরুষ ও ২৬ বছরের একজন নারি রয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মুহাঃ আতিয়ার রহমান বলেন, লক ডাউন শিথিল হয়নি। মার্কেট খোলা রাখায় জনসমাগম একটু বেড়েছে। মানুষকে ঘরে ফেরাতে দিন রাত কাজ করছে থানা পুলিশ। তিনি উপজেলা বাসীকে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
আনন্দবাজার/শাহী