বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে হরিণ শিকারি চক্র

করোনাভাইরাসের কারণে চলা লকডাউনের সুযোগে সুন্দরবনে বেড়েছে হরিণ শিকার। সুন্দরবনের পাশঘেরা এলাকাগুলোতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে হরিণ শিকারি চক্রের সদস্যরা। লোকালয়ে আড়ালে আবডালে হরহামেশা চলছে হরিণের মাংস বেচাকেনা।

শনিবার বাগেরহাটের শরণখোলার ডিমের চর থেকে হরিণ শিকারের প্রস্তুতির সময় দুই শিকারিকে আটক করেছে বনবিভাগ। এ সময় শিকারে ব্যবহার করা ১৫শ ফুট নাইলনের দড়ির ফাঁদ ও একটি ট্রলার জব্দ করা হয়।

জানা গেছে, সুন্দরবন ঘেষে খুলনার দাকোপ এলাকায় হরহামেশা চলছে হরিণের বিক্রি। পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের সুতারখালী, কালাবগী, নলিয়ান, কালিনগর, কৈলাশগঞ্জ, রামনগর, বানিশান্তা, ঢাংমারী, খেজুরিয়া ও লাউডোব উপজেলায় চিহ্নিত হরিণ শিকারি চক্রের সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বন থেকে হরিণ শিকার করে গোপনে লোকালয়ে নিয়ে আসে চক্রটি। তারপর আগে থেকেই নির্ধারিত ক্রেতার কাছে প্রতিকেজি ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি করছে হরিণের মাংস।

জামাল শেখ এবং আল মাসুদ শেখ নামের দুই বাসিন্দা জানান, শিকারি চক্রের সদস্যদের নামে একাধিক মামলাও আছে। কেউ কেউ আটক হলেও, অনেকেই পালিয়ে যায়। আবার আটক অনেকে ছাড়া পেয়ে ফিরে আবারো শিকারে যুক্ত হয়।

সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, হরিণ শিকার রোধে নিয়মিত টহল জোরদার রয়েছে। চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত আছে। ধরা পড়লে বন্যপ্রাণী আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বন্যপ্রাণী গবেষক নাসির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন লকডাউন এবং স্বাভাবিক কাজকর্ম না থাকার কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে শিকারিরা। কাজেই বাঘের প্রধান খাদ্য হরিণসহ বন্যপ্রাণী শিকার রোধে সংশ্লিষ্টদের আরো সজাগ থাকতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  যে গ্রামে নারী নেই

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন