শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় মৃতদের দেহ পড়ে থাকছে ঘন্টার পর ঘন্টা

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মরদেহ পড়ে থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সময়মত যথাযথ ব্যবস্থার অভাবে মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এমনকি কখনও কখনও স্বজনেরা রেখে পালিয়ে যাওয়ায় মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করাও সম্ভব হচ্ছে না।

করোনায় মৃতদের সৎকারের কাজ করছে দেশের তিনটি সংগঠন। এরমধ্যে বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়ে দল গঠন করে কাজ করছে রহমতে আলম সমাজ সেবা সংস্থা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসা এবং হাসপাতালের মর্গ থেকে ত্রিশটিরও বেশি মরদেহ সংগ্রহ করে সৎকার করেছে সংগঠনটি।

রহমতে আলম সমাজ সেবা সংস্থা’র স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, বাসা-বাড়িতে বেশিরভাগ মরদেহই পড়ে থাকছে অন্তত দশ-বারো ঘণ্টা। তারপর স্বেচ্ছাসেবীরা গিয়ে উদ্ধার করছেন। হাসপাতালের মর্গ থেকে সংগৃহীত মরদেহের দশা আরও করুণ।

রহমতে আলম সমাজ সেবা সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী জারিফ কবির বলেন, একজন ইমাম সাহেব মারা গেছেন তার মরদেহ রাত আড়াইটা থেকে পরের দিন দুপুর আড়াইটা পযর্ন্ত ঘরেই পড়েছিল। পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি ধরতে ভয় পাচ্ছিলো, পরে আমাদের সদস্যরা গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে দাফনের ব্যবস্থা করে।

স্বেচ্ছাসেবী জারিফ আরও বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে দুর্বিসহ অবস্থা, হিমাগারে জায়গা নেই এবং দুর্গন্ধের মধ্যে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। কখনও কখনও করোনায় মৃতদেহ ফেলে সটকে পড়ছেন স্বজনেরা। এক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্যের অভাবে রেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হচ্ছে মরদেহ। যেসব সংগঠন রেওয়ারিশ লাশ দাফনের কাজ করতো এই মূহুর্তে তারা মাঠে নেই।

রহমতে আলমের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান বলেন, স্বেচ্ছাসেবীদের স্বাস্থ্যনীতি মোতাবেক পিপিই, সুরক্ষা চশমা, হ্যান্ড গ্লাভসসহ প্রোটেকশনের জন্য যা যা দরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি মরদেহ দাফনের পেছনে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা আমাদের খরচ হচ্ছে তবুও আমরা ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে এটা করে যাচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ  করোনায় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন স্থগিত

এছাড়া করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলে ঢাকার বাইরেও মৃতদেহ সৎকারের কার্যক্রম চালানোর কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন