নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) পরিমল কুমার সরকার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সরকারী নির্দেশ অমান্য করে খোলা রাখা ১৩ টি দোকানে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ৫শ’ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসিম আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযানে অংশগ্রহন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার, সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খাঁন, ট্রাফিক সার্জেস্ট রাশেদুজ্জামান সহ আরো অনেকে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে নীলফামারী জেলায় চলছে লকডাউন। জনসাধারন লকডাউন উপেক্ষা করে কারনে অকারনে বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় সমবেত হচ্ছে। এ সুযোগে সৈয়দপুরের কিছু ব্যবসায়ী অনুনোমদিত দোকানের সাটার অর্ধেক খোলা রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে পরিস্থিতি ক্রমাগত আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ছে।
সৈয়দপুরের উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন এ পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এরই অংশ হিসাবে সোমবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৯ টা থেকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়ক, শহীদ শামসুল হক সড়ক (কাপড় মার্কেট), শেরে বাংলা সড়ক, সৈয়দপুর প্লাজা, এস আর প্লাজায় অভিযান চালিয়ে, অসংখ দোকান বন্ধ করে। ১৩টি মামলায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০টাকা জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে বারাকাত ক্লোথ স্টোরের মালিককে ত্রিশ হাজার, ওড়না ঘরের মালিককে বিশ হাজার, কাশফি বেনারসির মালিককে বিশ হাজার, জাফরুল্লাহ ক্লথ স্টোরের মালিককে বিশ হাজার টাকা উল্লেখযোগ্য।
অভিযান চলাকালে সাময়িকভাবে ৭ জনকে আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের হুশিয়ার করে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযানকালে অর্থদন্ডপ্রাপ্ত সবাইকে সতর্ক করা হয় যাতে এ ধরনের পূনরাবৃত্তি না ঘটে।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার বলেন, এ ধরণের অভিযান চলতেই থাকবে। বাসায় থাকুন, নিরাপদে থাকুন। দেশের এই দুর্দিনে ব্যক্তিগত লাভের জন্য পুরো সমাজের ক্ষতি করবেন না। পারলে নিজের কর্মচারীদের প্রতি সদয় হোন। প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে তবু এ উপজেলায় আমরা কোন মৃত্যু দেখতে চাই না।
আনন্দবাজার/এফআইবি