রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন ঘন্টার রাস্তায় কেটেছে দুইদিন

বাংলাদেশে সরকার নির্দেশনা অনুযায়ী সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হলেও, তৈরি পোশাক কারখানা খোলার নির্ধারিত তারিখ ছিল গতকাল (৫ এপ্রিল)। ফলে সারাদেশে ‘কার্যত লক-ডাউন’ পরিস্থিতির কারণে গণ-পরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক গত শনিবার কর্মস্থলে ফিরেছেন।

কিন্তু শনিবার রাতে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানায়। তবে শ্রমিকদের বড় অংশই এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জেনেছেন রবিবার (৫ এপ্রিল) কারখানায় গিয়ে। ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র হতাশা দেখা গেছে।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের সাথি সরকার গাজীপুরের একটি রপ্তানি-মুখী পোশাক কারখানায় কর্মরত। সরকারের দেয়া ১০ দিনের সাধারণ ছুটিতে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি।

তবে এরই মধ্যে সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়লেও, যেহেতু শনিবার পর্যন্ত পোশাক কারখানা বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়নি, তাই ধারদেনা করে শনিবার দুপুরে কর্মস্থলে ফিরেছেন সাথি।

তিনি জানান কতটা হেনস্থার শিকার হয়ে কর্মস্থলে ফিরেছেন তিনি। “বাড়ি থেকে হেটে এসেছি অনেকটা পথ, তারপর পিকআপে এসেছি কয়েক কিলো রাস্তা। তারপর মোটরসাইকেলে এসেছি ময়মনসিংহ পর্যন্ত। সেখানে রাতে থেকে সকালে কিছুদূর অটো-রিকসা ও সিএনজি, এবং পরে আবার পিকআপে করে এসেছি আমরা।”

তিন ঘণ্টার রাস্তা, দুইদিন ধরে এসেছি। খরচ হয়েছে জনপ্রতি চার হাজার টাকার মত। এত কষ্ট করে এসেছি কারণ খোলার দিন না থাকলে যদি চাকরি চলে যায়! আবার এখন তো বেতনের সময়। যদি বেতন না দেয়, সেই ভয়ে। এত কষ্ট করে কর্মস্থলে পৌঁছে শনিবার রাত পর্যন্তও কিছু জানতে পারেননি তিনি।

আরও পড়ুনঃ  দূষণের ফাঁদে উন্নয়ন

রবিবার সকালে কারখানায় গিয়ে জানতে পারেন আগামী ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ ঘোষণা হয়েছে। সাথির মতই কারখানার প্রধান ফটকে টাঙ্গানো নোটিস দেখেই ছুটি বাড়ার বিষয়ে জানতে পেরেছেন এমন হাজার হাজার শ্রমিক।

আনন্দবাজার/তা.তা

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন