ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের পাশে নেই কেউ

দীর্ঘ সতেরো দিনের সাধারণ ছুটিতে বিপদে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। বিশেষ করে দিনমজুর লোকেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের এমন পরিস্থিতিতে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের এই সময়ে ভীষণ বিপদে আছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরাও।

দ্বারে দ্বারে ঘুরে দিন পাড় করা এই মানুষগুলোর খোঁজ নেওয়ার কেউই নেই। বিচ্ছিন্নভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের পাশে দাঁড়ালেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। এমন কঠিন পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।

বাড্ডার নতুনবাজার এলাকার খন্দকার গলিতে একটি বাসায় থাকেন আট জন হিজড়া। তাদের মধ্যে এক জনের নাম শোভা। ভাটারা এলাকায় তার একটি চায়ের দোকান আছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১৭ দিনের সাধারণ ছুটিতে বন্ধ রাখতে হয়েছে তার সেই দোকানটিও। এখন পর্যন্ত তাদেরকে খাবার দিয়ে কেউই সহযোগিতা করেনি বলে জানান শোভা।

শোভা বলেন, আমাদের কেউ খোঁজ নেয়নি। একটি দোকান করে দিয়েছিলেন ডিআইজি হাবিবুর রহমান। সেটিও বন্ধ রয়েছে। বাসায় যে জিনিসপত্র ছিল তাও শেষ। মঙ্গলবার দুপুরে একজন নারী অল্প কিছু চাল দিয়ে গেছেন। সেটাই রান্না করে খাব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেখার কেউ নেই। কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা এবং ভাটারা এলাকায় অন্তত ২৫০ জন হিজড়া থাকেন। এছাড়া শ্যামপুর, মিরপুর ও মগবাজারে অনেক হিজড়া রয়েছেন। যাদের খবর কেউ নিচ্ছে না। সরকার পাশে না থাকলে আমরা কীভাবে বাঁচব?

হিজড়াদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু) এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার উম্মে ফারহানা জারিফ কান্তা বলেন, আমরা বিভিন্ন জেলা ও বিভাগে হিজড়া সম্প্রদায়কে জেলা প্রশাসকদের দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছি। বরিশালে এরই মধ্যে ৫০ জন হিজড়াকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ১০ হাজার আছে হলেও হিজড়া সংগঠনগুলোর মতে বর্তমানে তাদের সংখ্যা অর্ধ লক্ষাধিক হবে।

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন