করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকলে ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) ছাড়াই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার (২৫ মার্চ) এই নির্দেশ দেয়ার পর নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে চিকিৎসকদের মধ্যে।
পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই হলো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত থেকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত পোশাক। এর মধ্যে রয়েছে মেডিকেল মাস্ক, গাউন, গগলস, ফেস শিল্ড, হেভি ডিউটি গ্লাভস ও বুট।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আমিনুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, যদি কোনো রোগীর কোভিড-১৯ এর লক্ষণ থাকে, তবে প্রথমে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেবেন এবং প্রয়োজনে পিপিই পরিধানকৃত দ্বিতীয় চিকিৎসকের কাছে প্রেরণ করবেন এবং তিনি পিপিই পরিহিত অবস্থায় রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করিবেন।
ওই আদেশে আরও বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক কোনো রোগীকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না।
এ বিষয়ে আমিনুল হাসান বলেন, প্রথম চিকিৎসক দূরত্ব বজায় রেখে সেবা দেবেন। দ্বিতীয় চিকিৎসক ভালো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন বলে তাঁকে পিপিই পরতে বলা হয়েছে।ইতোমধ্যে বিতরণ করা পিপিইগুলো চিকিৎসকদের হাতে পৌঁছেছে।
এদিকে আজই রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত পিপিই পাওয়া গেছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার। এর মধ্যে ২ লাখ ৯১ হাজার বিতরণ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এ