শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহামারি ঠেকাতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পরামর্শ

করোনায় সমগ্র বিশ্ব যখন বিপর্যস্ত, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ভয়ে কাঁপছে, তখন কিছুটা হলেও আশার আলো দেখিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নেতৃত্বে পরিচালিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা স্বল্প খরচে ও অল্প সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এই পদ্ধতি কয়েকদিন আটকে থাকার পর অবশেষে সেটি ব্যবহারের অনুমতিও মিলেছে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাজ্যে মেডিক্যাল সায়েন্সে উচ্চতর ডিগ্রি শেষ না করেই চলে এসেছিলেন যুদ্ধক্ষেত্রে। মু্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য গড়ে তুলেছিলেন ফিল্ড হাসপাতাল। এবার করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুতিহীন দেশে যখন প্রয়োজনীয় কিটের অভাবে করোনা শনাক্ত করার বিষয়টি নিয়েই বড় অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়, তখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক ড. বিজন কুমার শীল সহজে করোনা পরীক্ষার পদ্ধতি আবিস্কার করে আলোর মুখ দেখিয়েছেন পুরো জাতিকে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি মোটেও পর্যাপ্ত নয়। ইতোমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার কার্যকরভাবে সিল করে দেওয়া (স্থলবন্দরের বাইরের কোনো অংশ দিয়েও যেন কেউ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে), আদালতে ভিড় কমানো ব্যবস্থা নেওয়া, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বস্তির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, ১০ বছরের কম শাস্তিপ্রাপ্তদের বিশেষ ক্ষমা করে জেল থেকে বের করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  জরিমানা ছাড়া আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার পরামর্শ

সংবাদটি শেয়ার করুন