করোনাভাইরাসের আতঙ্কে বন্ধ হয়ে গেছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দূরের শিক্ষার্থীরা অনেকেই চলে গেছেন বাড়িতে। কেউবা নিচ্ছেন প্রস্তুতি। কিন্তু এ আতঙ্কের ভয় ছুতে পারেনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থীদের। দিন-রাত কাজ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফরমুলা অনুসরণ করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়ে বিতরণ করেছেন তারা।
গত রোববার রাত থেকে ফার্মেসী বিভাগের ল্যাবরেটরিতে ৭০ ভাগ আইসোপ্রোপ্রাইল অ্যালকোহল ও অন্যান্য জীবানুনাশক উপাদানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাজ শুরু হয়। সবমিলিয়ে প্রায় ১৩ শতাধিক বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে বিতরণ করেন শিক্ষার্থীরা।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নামেমাত্র মূল্যে এ হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলো বিতরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফরহাদ বলেন, করোনার সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ফার্মাসী বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এমন উদ্যোগের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।
বিভাগের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ও বিভাগের অর্থায়নে রোববার রাত থেকে প্রাথমিকভাবে ২৯০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার পর সোমবার রাতভর কাজ করে শিক্ষার্থীরা আরো এক হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাজে নিয়োজিত ফার্মেসি বিভাগের প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা মানুষের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভালো লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে সবাই বাড়ি যাচ্ছে। আমরা ভাবছি বাড়িতো যাবই, একটু মানুষের উপকার করে যাই।
ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ কৌশিক আহমেদ বলেন, আমাদের বিভাগটা এখনো অনেক ছোট তারপরও বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এই উদ্যোগ গ্রহন করি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় ফার্মেসি বিভাগের এই উদ্যোগ অনেক ভাল। আমি ফার্মেসি বিভাগের এমন সুচিন্তা এবং কাজকে সাধুবাদ জানাই। করোনা সতর্কতায় যে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিবে।’
আনন্দবাজার/এম.কে