ঢাকায় অফিস খুলতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। ঢাকায় সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্কের সঙ্গে আলোচনা শেষে বিষয়টি জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
শারমিন মুরশিদ বলেন, ‘ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় বিষয়টি ইতিবাচক দেখছে সরকার।’ জুলাই গণহত্যা নিয়ে তদন্ত করছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন। ঢাকায় অফিস খুললে তদন্তে বড় ভূমিকা রাখবে বলেও জানান উপদেষ্টা। এর আগে ভলকার টুর্কের সঙ্গে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মধ্যাহ্নভোজে মিলিত অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা। বাকি উপদেষ্টারা হলেন- শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এর আগে সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভলকার টুর্ক। সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এটা নিয়ে কাজ করছে।
ভলকার টুর্ক বলেন, আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে কথা বলেছি। বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে, সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে সেক্ষেত্রে মানবাধিকার যেন নিশ্চিত করা হয় সেটি বলেছি।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক।
দুই দিনের ঢাকা সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয় থেকে সাতজন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, সেনাবাহিনী প্রধান, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের প্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
আনন্দবাজার/ আরবি