ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সার্টিফিকেট জালিয়াতিতে টাকার ভাগ পেতেন বোর্ডের অনেকে: ডিবি

সার্টিফিকেট জালিয়াতিতে টাকার ভাগ পেতেন বোর্ডের অনেকে ডিবি

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, টাকার বিনিময়ে শামসুজ্জামানের আসল সার্টিফিকেট বিক্রির ভাগ নিতেন বোর্ডের অনেক সদস্য। তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। এতে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা এই সার্টিফিকেট বিক্রির সঙ্গে জড়িত।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ এ কথা বলেন।

ডিবি প্রধান বলেন, রাজধানীর পীরেরবাগে কয়েকদিন আগে অভিযান চালিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছিলাম। সরকারি কাগজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের আসল সনদ বিক্রি করতো কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান। শুধু তাই নয়, ওইসব সার্টিফিকেটের তথ্য বোর্ডের ওয়েবসাইটও আপলোড করা হতো।

তিনি জানান, এই প্রতারক চক্র প্রতারণার মাধ্যমে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট বিক্রি করেছে। গ্রেফতারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনেক চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছেন।

শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ তৈরির কাগজ কীভাবে বের করতেন এমন প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, সবাইকে ম্যানেজ করে অর্থাৎ শিক্ষা বোর্ডের সবার সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করতেন। এমনকি তার এই সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে গণমাধ্যমের অনেক সাংবাদিকও জানতেন। সবাই-ই তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন।

হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, শামসুজ্জামানের এই অবৈধভাবে সার্টিফিকেট বিক্রির বিষয়ে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলেন— অনেক কিছু বেড়িয়ে আসছে। ফলে সেটাও ধামাচাপা পড়ে যায়। নিজেরা না বোঝার দোহাই দিয়ে অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কমপিউটার কাউন্সিলে। তারাও চুপ হয়ে যায়।

গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শামসুজ্জামান বলেছেন, সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সবাই জানতেন। টাকার বিনিময়ে সবাইকে ম্যানেজ করে আসল সার্টিফিকেট বানিয়ে সার্ভারে আপলোড করে দিতেন। ডিবি প্রধান বলেন, আমরা সব কিছুই তদন্ত করছি। তার কাছ থেকে সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের কাছে তিনি বলেছেন, কারা তদন্ত করতে গিয়ে চুপ হয়ে গেছেন। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই করে এ কাজে আর কোন কোন রাঘব বোয়াল জড়িত সবার নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন