পুরান ঢাকার ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাকরাইন উৎসব। ঘুড়ি, আতশবাজির রঙে আকাশকে বর্ণিল সাজে সাজিয়ে তরুন-যুবা সবাই মেতে উঠেছে সাকরাইনকে ঘিরে।
পৌষ সংক্রান্তি বাঙ্গালির সংস্কৃতির এক উল্লেখযোগ্য আবেগঘন দিন। নানা উৎসব উদযাপনের মধ্যে পালিত হয় দিনটি। অনেকের কাছে এটা আবার ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব নামেও পরিচিত। দুই দিনব্যাপী সাকরাইন উৎসবের প্রথম দিনে নানা রংয়ের ঘুড়িতে ছেয়ে যায় পুরান ঢাকার আকাশ। সূর্য ডোবার সাথে সাথেই ওড়ানো হয় ফানুস। সেই সাথে জমে ওঠে আতশবাজির খেলা।
তরুণদের সঙ্গে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষকে দেখা গেছে নিজ নিজ বাড়ির ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে। পিছিয়ে নেই মেয়েরাও। ছেলেদের সঙ্গে পাল্টা দিয়ে ঘুড়ি ওড়াতে দেখা গেছে তাদের। কোথাও কোনো কমতি ছিলনা আতশবাজি আর সাউন্ড সিস্টেমের।
প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদেই দেখা যায় ছেলেমেয়েদের ঘুড়ি ওড়াতে। একই সঙ্গে জমকালো আতশবাজি ফুটিয়ে পৌষ সংক্রান্তির শেষ দিনকে বিদায় জানাচ্ছে সবাই। সাউন্ড সিস্টেমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে নাচ গানের আনন্দও। দেখে মনেই হবে এ যেন এক ঈদের আনন্দ।
পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ, মুরগিটোলা, কাগজিটোলা, গেন্ডারিয়া, বাংলাবাজার, ধূপখোলা মাঠ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শাখারিবাজার, সদরঘাট, কোটকাচারী, শিংটোলা এলাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় সাকরাইন উৎসব পালনের চিত্র।
আনন্দবাজার/শাহী