শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

অনিয়ম দূর্নীতি ও সেচ্ছাচারীতার অভিযোগে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান এ.কে শামসুদ্দিন আবুকে অনাস্থা দিয়েছে সকল ইউপি সদস্যরা।

গত ৮ জানুয়ারী বুধবার দুপুরে রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অনাস্থার বিষয়টি প্রকাশ করেন ইউপি সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ১নং ওয়ার্ড মেম্বার জালাল ডাক্তার ।

এসময় ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন সদস্যের প্রত্যেকেই উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে পরিষদের সকল সদস্যরা স্বাক্ষর করে চেয়ারম্যান আবু শামসুদ্দিনের অনাস্থার জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তারা।

উক্ত লিখিত বক্তব্য ও অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান এ কে শামসুদ্দিন এর বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নিতি অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদ এর সদস্য বৃন্দ মোট ১২ জন অনাস্থাপ্রকাশ করেন যে, চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদের সব উন্নয়ন মূলক কাজ কাবিখা, কাবিটা, টি আর, এল জি এসপি, এডিপি, মৎস, চল্লিশ দিন এবং উন্নয়ন মূলক তহবিল এর সকল কাজকর্ম চেয়ারম্যান একাই করেন।
ইউপি সদস্যদেন নামমাত্র সিপিসি করা হয়।

কিন্তু কোন কিছু আলোচনা না করে আগাম স্বাক্ষর ও রেজুলেশন করেন। ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশন কোন সদস্য বা সদস্যাদেরকে না পড়াইয়া শুধুমাত্র সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। বিগত এক বছর যাবৎ ইউনিয়ন পরিষদের কোন সদস্য বা সদস্যাগণকে সম্মানি ভাতা দেওয়া হয়নি।

জন্মনিবন্ধন এবং টেক্স এর কোন হিসাব নিকাশ না দিয়ে নিজে আত্বসাৎ করেন। ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ বেলায়েত হোসেনের কাছ থেকে সারের ডিলার ও টিউবওয়েল বাবদ দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন, ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ বেল্লাল এর কাছ থেকে টিউবওয়েল বাবদ দুই লাখ টাকা, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আলী আক্কাসের কাছ থেকে মুজিব বর্ষের ঘর ও টিউবওয়েল বাবদ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ৮নং- ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন এর কাছ থেকে মুজিব বর্ষের ঘর বাবদ ৬০ হাজার টাকা নেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের অনেক অনিয়ম জন সাধারণের মাঝে পরিলক্ষিত হয়। জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেন।

আরও পড়ুনঃ  ভোজ্যতেল আমদানিতে বাড়েনি সুবিধা

এব্যাপারে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, অনিয়ম দূর্নীতি ও সেচ্ছাচারীতার অভিযোগে চেয়ারম্যানের অনাস্থা চেয়ে সকল ইউপি সদস্যরা স্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন