শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকার সোয়া ৫ লাখ শিশু পাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

ঢাকা জেলার ৬টি উপজেলা সোয়া ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে আজ। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি। এ সময় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৭৪ হাজার ৮২ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ১ লাখ আইইউ (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৫২ হাজার ১৫৮ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ২ লাখ আইইউ ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ কাজে স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা সরাসরি অংশ নেবেন।

সোমববার ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. ইয়াসমিন নাহার। এ সময় ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্য অফিসের পরিচালক কাজী গোলাম আহাদ, মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুক ও ডা. রেজওয়ানা পারভীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন দপ্তরের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মো. মহসিন মিয়ার সঞ্চালনায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন মেডিকেল অফিসার ডা. রেজওয়ানা পারভীন। তিনি জানান, ঢাকা জেলার ৬টা উপজেলার মধ্যে সিভিল সার্জন দপ্তরের আওতাভ‚ক্ত রাজধানীর তেজগাঁও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ধামরাই, দোহার, কেরাণীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, সাভার ও সাভার পৌরসভা এলাকায় এ ক্যাম্পেইন চলবে। এ দিন ১ হাজার ৭৪৩ টি স্থায়ী ও ১২৫ অস্থায়ী কেন্দ্রে আসা ৫ লাখ ২৬ হাজার ১৮০ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ কাজে ৩ হাজার ৮৮৬ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেবেন।

আরও পড়ুনঃ  পুরান ঢাকায় নকল তেল-লোশনের কারখানা

ডা. রেজওয়ানা পারভীন আরও জানান ভিটামিন ‘এ’ প্লাস কাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয়ে সচেতন করা হবে। যেমন; জন্মের পরপর নবজাতককে শালদুধ খাওয়ানো, ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো; শিশুর ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তা প্রচার করা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. ইয়াসমিন নাহার বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল শিশুর গর্ভকালীন সময়ের বৃদ্ধি স্বাভাবিক রাখে, জšে§র পর শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধ করে, ডায়রিয়া-নিউমোনিয়ার প্রকোপ কমায়, অন্ধত্ব দূর করে। এজন্য শিশুদেরকে বাড়ির পাশের কেন্দ্রে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। তবে অসুস্থ শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। প্রানীজ্য ও উদ্ভিজ্য খাদ্য উৎসে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস পাওয়া যায়। বাড়িতে বাড়িতে শিশুদের এ ধরনের খাবার খাওয়াতে অভ্যস্ত করতে হবে।

জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক কাজী গোলাম আহাদ বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যম্পেইন মানে অনেকেই মনে করেন শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো ছাড়া আরও কিছু। বিষয়টি তা নয়। ক্যাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি আমরা কিছু মূল্যবান স্বাস্থবার্তা প্রচার করি। যা অভিভাবকরা আমলে নিলে শিশুরা সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে। এ কারণে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস কাপসুল খাওয়ালে শুধু চলবে না, বরং সবাইকে স্বাস্থ সচেতন বার্তাসমুহ মুখে মুখে যে যেভাবে পারি প্রচার করতে হবে।

এদিকে আজ সকাল ১১টায় মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) মিলনায়তনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টরা জানান, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে অবহতিকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় ওয়ার্ড পর্যায়ে এবং উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যায়ে লজিস্টিকস প্রেরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ওষুধাগার থেকে জেলা, সিটি কর্পোরেশন ও মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন