শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় অধ্যাপক ড. সুফিয়া আহমেদ ছিলেন একজন পরিপূর্ণ মানুষ

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর ২০২৩) নিমতলীর বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি মিলনায়তনে জাতীয় অধ্যাপক ড. সুফিয়া আহমেদ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্বোধনী আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ‘ড. সুফিয়া আহমেদ: তাঁর জীবন ও সময়’ শিরোনামে এই আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচকরা জাতীয় অধ্যাপক ড. সুফিয়া আহমেদকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত নারী আসন-১১) অ্যারোমা দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হাবিবা খাতুন, ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক জাহানারা হক চৌধুরী এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আরিফ খান।

এশিয়াটিক সোসাইটির সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির তাঁর প্রারম্ভিক বক্তৃতায় ভাষা-সৈনিক সুফিয়া আহমেদের কর্মময় জীবনের বহুমাত্রিক দিক উল্লেখ করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের নির্ধারিত বক্তা অ্যাডভোকেট আরিফ খান আইন ও শিক্ষাঙ্গনে ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ ও ড. সুফিয়া আহমেদ এবং তাঁদের পরিবারের অবদান তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁদের স্মৃতি রক্ষার্থে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

অধ্যাপক হাবিবা খাতুন তাঁর আলোচনায় সুফিয়া আহমেদের সাংগঠনিক দক্ষতার কথা স্মরণ করেন। বিশেষত ইতিহাস পরিষদের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততার কথা উঠে আসে এ আলোচনায়।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আলোচক অধ্যাপক জাহানারা হক চৌধুরী স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। ড. সুফিয়া আহমেদের ব্যক্তিত্ব, অতিথিপরায়ণতা ও দানশীলতার কথা উঠে আসে তাঁর আলোচনা।

অ্যারোমা দত্ত তাঁর বক্তৃতায় ভাষা আন্দোলনসহ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-সংগ্রামে সুফিয়া আহমেদের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরেন। বহু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা উঠে আসে তাঁর আলোচনায়।

আরও পড়ুনঃ  রাজধানীতে গণপরিবহন ভাড়া দ্বিগুণ!

অনুষ্ঠানের বিশেষ বক্তা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণের পাশাপাশি জাতিসংঘে সুফিয়া আহমেদের ভাষণের একটি দুর্লভ ছবি প্রদর্শন করেন।

নির্ধারিত আলোচকরা ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অধ্যাপক আবদুল মমিন চৌধুরী, অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদ, অধ্যাপক নাজমা খান মজলিশ, অধ্যাপক কে এম গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক নুসরাত ফাতেমা, অধ্যাপক আবদুর রহিম প্রমুখ তাঁদের স্মৃতিচারণ করেন। তাঁদের আলোচনাও সুফিয়া আহমেদের পাণ্ডিত্য, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, স্নেহপরায়ণতাসহ জীবনের বহু অজানা দিক উঠে আসে।

সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও এই ফাউন্ডেশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম ড. সুফিয়া আহমেদকে একজন অনুকরণীয় মানুষ হিসেবে অভিহিত করেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষাবিদ, গবেষক, আইনজীবী ও সোসাইটির সদস্যবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন