শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরতাল দেখতে অনেকে আসলো শহরে

হরতাল দেখতে অনেকে আসলো শহরে

বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা দেশ ব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় কোন প্রকার প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকেই শহরের সকল দোকান পাট স্কুল কলেজ মাদরাসা খোলা ছিল। রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে যথা সময় সকল ট্রেন ছেড়ে গেছে। পৌর শহরসহ উপজেলায় সকল রাস্তায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল ছিল অন্যান্য দিনের ন্যায় স্বাভাবিক। তবে হরতালের সমর্থনে বিএনপি জামায়েত ইসলামীসহ তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কোথাও কোন প্রকার মিছিল কিংবা পিকেটিং করতে দেখা যায় নি। তবে সহিংসতা রোধে পুলিশ খুবই তৎপর ছিল। পৌর শহরসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।

এদিকে দীর্ঘ দিন পর রাজনৈতিক মাঠে হরতালের মতো কঠিন কর্মসুচি দেওয়ায় অনেকেই তা দেখতে শহরে বের হয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে থাকায় মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দেন।

উৎসুক জনতা বলেন এটা কী হরতাল যারা ডেকেছে তাদের কোন পাত্তা নেই। আমরা কখনো হরতালকে সমর্থন করি না।

উপজেলার আজমপুর এলাকার মো: বাছির মিয়া বলেন, তার অসুস্থ স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে ট্রেন যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতে সকালে অটো রিকশা দিয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে আসেন। সে বলেন আমরা ভেবেছিলাম যেহেতু হরতাল সড়ক পথে আসতে কোন সমস্যা হয় কিনা চিন্তায় ছিলাম । কিন্তু এখন বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখলাম সব বিছু স্বাভাবিক আছে। আসতে কোন সমস্যা হয়নি। তিনি আরো বলেন, আসলে এই সময়ে এসে হরতাল দেওয়া উচিত হয়নি। আমরা কোন সময় চাই না। হরতাল দেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই এই হরতাল আমরা মানি না।

আরও পড়ুনঃ  কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার লাপাত্তা

মো: বাবুল মিয়া বলেন, দীর্ঘ বছর আমি প্রবাসে ছিলাম। গত ২ মাস আগে ছুটিতে দেশে আসা হয়েছে। রাতে হরতালের খবর পেয়ে দেখতে সড়ক বাজার আসি। এক পর্যায় অনেক জায়গাতে যাওয়া হয়। কিন্তু হরতালের কোনো পিকেটিং চোখে পড়েনি। মানুষের চলাচল অন্য সময়ের মতো স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশ উন্নয়নে হরতালের রাজনীতি থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে। আমি হরতালকে কখনো সমর্থন করি না । আমরা সার্বিক ভাবে দেশের উন্নয়ন চাই।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মামুন মিয়া বলেন, জীবিকার সন্ধ্যানে নিত্যদিন পরিশ্রম করতে হয়। আমাদের তো আর হরতাল দেখলে হবে না। তাই বাধ্য হয়েই ঘর থেকে বের হলাম। এখন পযর্ন্ত কোন সমস্যা হয়নি। সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে।

মো: সবুজ মিয়া বলেন, অনেক দিন পর সকাল সন্ধ্যা হরতালের ঘোষনা দেওয়া হয়। তাই দেখতে আসলাম কি ভাবে পালন করা হয়। যে দল হরতালের ডাক দিয়েছে তাদেরকে তো আর রাজপথে দেখতে পেলাম না। আমি হরতাল পছন্দ করি না।

আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আসাদুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা পায়নি। সার্বিক ভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা খুবই তৎপর ছিল।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন