শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষক তরিকুল ইসলামকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষক তরিকুল ইসলামকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলার নীলমণিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তরিকুল ইসলামকে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মারপিট, ইভটিজিং, নেশাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করার প্রতিবাদে সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের কিশোর গ্যং এর মূল হোতা প্রান্ত ও তার দলবল মিলে গত ৩০ আগস্ট সহকারী শিক্ষক তরিকুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার গত ০১ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

তবে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, আসামীরা জামিনে বের হয়ে নিজেরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজেদের জখম করে ভুক্তভোগী শিক্ষক তরিকুল ইসলামকে উক্ত ঘটনায় ১নং আসামী করে ২৯ সেপ্টেম্বর দন্ডবিধির (৩০৭, ৩২৫, ৩২৬) ধারায় হয়রানি ও প্রতিহিংসামূলক পাল্টা মামলা করে।

পরিবারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, স্কুল শিক্ষক তরিকুল ইসলাম ওই এলাকার স্থানীয় না হওয়ায় তাকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে কিশোর গ্যং এর সদস্যরা। একইসঙ্গে বিভিন্ন হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। বিচার চাইতে গিয়ে বিচারপ্রার্থী উল্টো হয়রানির শিকার হয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

এদিকে কিশোর গ্যং প্রান্তর ‍সহযোগিরা নিয়মিত তরিকুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।

এলাকাবাসীরা জানান, হামলাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চায় না। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলার অবসান হোক এবং শিক্ষক তরিকুল ইসলাম তার স্কুলে ফিরে যাক। এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

স্কুলশিক্ষক তরিকুল ইসলামের প্রাক্তন সহকর্মী শিক্ষক খালিদ হাসান জাহাঙ্গীর মিলন বলেন, স্কুলে গিয়ে শিক্ষককে হামলা শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জাজনক। এই নৃশংস হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।

আরও পড়ুনঃ  র‌্যাগিংয়ের অপরাধ প্রমাণ হলে চাকরি থাকবেনা!

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, ‍দুটি পৃথক মারামারির ঘটনায় ‍দুটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সার্বিক বিষয় জানা যাবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন