শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন কিলোমিটার দূরত্বে চিঠি পৌছতে লাগল এক মাস

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ পোস্ট অফিস থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বে একটি রেজিস্ট্রি চিঠি পৌছতে সময় লেগেছে পুরো এক মাস। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে উঠে নানান আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।

স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী কামরুল ইসলাম রতন চিঠি পৌছানোর বিষয়ে পোস্ট অফিসের গাফেলতির চিত্র তুলে ধরে ফেসবুকে পোস্ট করেন। এতে অনেকের মাঝেই নানান সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে নেত্রকোণা জেলা পোস্ট অফিস পরিদর্শক আবু হেনা মোনাছিফ করিমকে বিষয়টি অবহিত করলে বলেন, মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য আমরা অনেক পরিশ্রম করি। যথাসময়ে চিঠি পৌছানোই নিয়ম। গ্রহণ করার কাউকে না পেলে বা কেউ গ্রহণ না করলে চিঠি ফেরত যাবে। তবে এমন ঘটনা আমাদের ঐতিহ্যবাহী ডাক বিভাগের জন্য বিব্রতকর। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট নেত্রকোণা জেলা শহরের কোর্ট পোস্ট অফিস থেকে একটি চিঠি রেজিস্ট্রি করা হয়। বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠির গন্তব্য বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৭ আগস্ট চিঠিটি মোহনগঞ্জ প্রধান ডাকঘরে এসে পৌছে। কিন্তু সেই চিঠি তিন কিলোমিটার দূরত্বের ওই বিদ্যালয়ে পৌছে ৭ সেপ্টেম্বর।

এত স্বল্প দূরত্বে একটি চিঠি পৌছতে এক মাস সময় লাগায় পোস্ট অফিসে কর্মরতদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা।

বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়ার বিষয়ে আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছিল। দেরিতে চিঠি পাওয়ায় তিনি এর জবাব দিতেও দেরি করেছেন। তবে পোস্ট অফিসের এমন গাফেলতি দুঃখজনক।

আরও পড়ুনঃ  ‘পরাণ’ এ মজেছে জবি

গণমাধ্যম কর্মী কামরুল ইসলাম রতন বলেন, একটি রেজিস্ট্রি চিঠি তিন কিলোমিটার দূরে পৌছাতে এক মাস সময় লেগেছে। এটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। গ্রহণকারী না পেলে চিঠি ফেরত যাবে কিন্তু এমন হওয়ার কথা নয়। এটি পোস্ট মাস্টার ও পিয়ন সহ সংশ্লিষ্ট সবার গাফেলতি। এতে করে ডাক বিভাগের প্রতি মানুষ আস্তা হারাবে।

মোহনগঞ্জ উপজেলার প্রধান ডাক ঘরের পোস্ট মাস্টার মো. ওবায়দুল হক জিকু বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। পিয়ন চিঠি নিয়ে যথা সময়ে গিয়েছিল কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে পাননি। পরে ফোনে তিনি চিঠিটি পরে অফিস থেকে নিবেন বলে জানান। পরে এটি নিতে দেরি করে ফেলেছেন। আর এ বিষয়ে প্রেরকের কোন অভিযোগও এখনো পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জেলা প্রধান ডাক ঘরের পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহার বলেন, এমন দুই একটি ঘটনা ডাক বিভাগের জন্য বিব্রতকর।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন