শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মাইকিং করে সতর্ক থাকার আহবান

ধেয়ে আসছে পাহাড়ী ঢল : আতংকে চরাঞ্চল থেকে নিরাপদে যাচ্ছে মানুষ

ধেয়ে আসছে পাহাড়ী ঢল

ধেয়ে আসছে উজানের পাহাড়ী ঢল। তিস্তা যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পস্নাবিত হতে পারে। জনসাধারন ও নদীতীরবর্তী জনপদের মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য মাইকে বার্তা প্রচার করা হচ্ছে গাইবান্ধার চার উপজেলায়। ফলে আতংকিত লোকজন আজ থেকেই নিরাপদে যেতে শুরু করেছে।

বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরন কেন্দ্র জানান,ভারতের গজলডোবা ভেঙ্গে ও অবিরাম বর্ষনে পাহাড়ী ঢল নেমে আসতে পারে তিস্তা নদীতে। তিস্তা নদীর পানিতে পস্নাবিত হতে পারে গাইবান্ধা সহ উত্তরের কয়েক জেলার নদী তীরবর্তী এলাকা। প্রবল বেগে পানি আসছে এই খবরে গাইবান্ধার তিস্তা,যমুনা,ব্রহ্মপুত্র নদীর ১ শ ৬৫ চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে আতংক।

সাধারন মানুষের মধ্যে বন্যাতংক ছড়িয়ে পড়ায় গাইবান্ধার তিস্তা,যমুনা,ব্রহ্মপুত্র নদীর চরাঞ্চল,ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ,সাঘাটা,ফুলছড়ি ও গাইবান্ধা সদর সহ ৪ উপজেলার ১ শ ৬৫ টি চরাঞ্চলের ৫ লক্ষাধীক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতংক।

ব্রহ্মপুত্র নদীর চরের বাসিন্দা ও কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির বলেন,পাহাড়ী ঢলে এর আগে ২ দফা বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। আবার পাহাড়ী ঢল নামতে পারে এই খবর শুনে চরাঞ্চলের মানুষ তাদের ঘরবাড়ি গোছাতে শুরম্ন করেছে। চরাঞ্জলের মানুষ মাইকিং শুনে তারা অনেকেই নদীর পার হয়ে গাইবান্ধা শহর ও বাঁধের অপর প্রান্তে খুটি বসাতে শুরম্ন করেছে।

সাঘাটা থেকে সুন্দরগঞ্জ পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে অনেক পরিবার ঘরের টিন খুলে নিয়ে এসে ছাপড়া তুলতে দেখা গেছে। অনেকে নদী পার হয়ে অন্যত্র চলে গেছে। গরম্ন ছাগল হাস মুরগি নিয়ে চরাঞ্চলের ঘরবাড়ি রেখে জীবন বাঁচাতে আশ্রয় কেন্দ্র ও উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। আকাশের অবস্থা দেখে আর পাহাড়ী ঢল আসছে সেই আতংকে সুন্দরগঞ্জের তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়েছেন বুধবার বিকেলে। নদীর বাঁধ ও বাঁধের পাশের স্কুল কলেজ গুলোতে লোকজন আসতে শুরম্ন করেছে।

আরও পড়ুনঃ  ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুর নির্দেশ শিল্পমন্ত্রীর

তিস্তা নদীর মিন্টু মিয়ার চরের বাসিন্দা ফজলু মিয়া বলেন,মাইকিং শুনে তার তিন মেয়ে বউ ছাওয়া আর গবাদী পশু নিয়ে জীবন বাঁচাতে নৌকায় আশ্রয় নিয়েছেন। পোড়ার চরের বাসিন্দা রেজা মেম্বর বলেন নিজের নৌকা বলে আমার না হয় সুযোগ হলো কিন্তু চরের এতো মানুষ কোথায় যাবে। এলাকায় উচু আশ্রয় কেন্দ্র নেই মানুষে কোথায় যাবে আলস্নাহ ভরসা করে আছেন পোড়ার চরের ৩ শতাধিক পরিবার। গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন,যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতিমধ্যে তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে ৪ টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মানুষ,গবাদী পশু সহ সম্পদ রক্ষা ও রেসকিউ করার জেলা প্রসাশন থেকে ৪ টি বড় নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার সহ পানি,ওষুধ সহ সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন