স্ত্রীর দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় পুলিশ সদস্য স্বামী জুয়েল মোল্লাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অনুশ্রী রায়। একই সময় এ মামলার অপর ৩ আসামি বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।
আজ মঙ্গলবার ২৯শে আগষ্ট রাত পৌনে ৯টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অনুশ্রী রায়।
সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য জুয়েল মোল্লার বাড়ী কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুরা গ্রামে। সে ওই গ্রামের আজাহার মোল্লার ছেলে। বতমানে তিনি মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
স্ত্রী সাইমা আক্তার সীমার আদালতে দায়েরকৃত মামলার বরাত দিয়ে বিচারক জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে পুলিশ সদস্য জুয়েল মোল্লা চাকরির কথা বলে স্ত্রী সাইমা আক্তার সীমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নেন। পুলিশে চাকরি হওয়ার পর প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগে ইসলামিক (শরিয়া কাবিনমূলে) মামলার বাদী সাইমা আক্তার সীমাকে বিয়ে করেন জুয়েল। এরপর সাইমাকে কাবিনমুলে বিয়ের কথা বললে যৌতুক হিসাবে ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা দাবি করেন পুলিশ সদস্য জুয়েল। চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইসলামিক শরিয়ামূলে বিয়ের কথাও অস্বীকার করেন পুলিশ সদস্য জুয়েল।
১৭ সালের ৬ জুলাই জুয়েলসহ আরো কয়েকজনকে আসামী করে গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা করেন স্ত্রী। মামলাটি আমলে নিয়ে কাশিয়ানী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক।
তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে চুড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
৬ বছর ব্যপক শুনানি শেষে মঙ্গলবার পুলিশ সদস্য জুয়েল মোল্লাকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও অপর তিন আসামীকে খালাস দেন বিচারক।