পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী শহর এলাকায় একটি বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান দেখা গেছে। এটি খাদ্যের খোঁজে কোন খাদ্যপণ্যবাহী ট্রাকে করে লোকালয়ে আসছে বলে ধারণা স্থানীয়রা।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকাল পৌনে চারটার দিকে সুবিদখালী সরকারি রহমান ইসহাক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে হনুমানটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। এসময় উৎসুক জনতা উত্ত্যক্ত করলে হনুমানটি আক্রমণ করে বসে। এতে আরিফ হোসেন (১৬) নামে এক স্কুলছাত্র গুরুতর আহত হয়। সে অত্র স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের ফারুক হাওলাদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে সুবিদখালী হাই স্কুলের প্রধান ফটকের পাশে বাউন্ডারীর উপর হনুমানটি দেখতে পায় ছাত্রছাত্রীরা। একই সময় বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা চলছিল। হনুমানটি দেখতে ধীরে ধীরে স্থানীয় লোকজন ভিড় করলে সে মাঠের মধ্যে প্রবেশ করে। এসময় উৎসুক ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয়রা হনুমানের চারপাশে ঘিরে ধরে তাকে উত্যক্ত করতে থাকে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে সে এক ছাত্রীকে আক্রমণ করে বসলে ওই ছাত্রী দৌড়ে চলে যায়।
পরে মাঠের মধ্যে প্রবেশ করে খাইরুল নামে এক ফুটবল খেলোয়ারকে আক্রমণ করলে সেও দৌড় দেয়। এরপর আরিফ হনুমানটিকে ঢিল ছুড়লে তাকে আক্রমণ করে বাম হাতের মাংস তুলে নিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তবে এ ঘটনার পর হনুমানটিকে আর দেখা যায়নি। তবে বর্তমানে এটি উপজেলার এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
পজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল মিয়া জানান, ধারনা করা হচ্ছে কলাবাহী ট্রাকে করে হনুমানটি এদিকে আসতে পারে। তবে এগুলো আবার নিজ গন্তব্যে চলেও যাবে। হনুমান খুবই নিরীহ প্রকৃতির। এদেরকে বিরক্ত না করলে কাউকে আক্রমণ করার আশঙ্কা নেই। আর এসব বন্যপ্রাণীকে খাবার দেওয়া যাবে না। তারা প্রাকৃতিকভাবে নিজের খাবার খুঁজে নিতে সক্ষম।