শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ড. ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী

‘আত্মসম্মান না থাকায় বিবৃতি ভিক্ষা করছেন তিনি’

'আত্মসম্মান না থাকায় বিবৃতি ভিক্ষা করছেন তিনি'

দেশের একমাত্র নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ৩৪ বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ‘নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বিবৃতি দিয়েছেন তাদের আহ্বান জানাই, বিবৃতি না দিয়ে বিশেষজ্ঞ পাঠান, আইনজীবী পাঠান। দলিল দস্তাবেজ, কাজগপত্র ঘেঁটে দেখুন অন্যায় আছে কি না।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে গণভবনে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি খুঁজে বেড়াচ্ছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান করতে বলেছেন, কিন্তু দুর্নীতিবাজ পছন্দের লোক হলে আবার এগুলো নিয়ে কথা আসছে কেন? আইন তো তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তিনি বলেন, বিবৃতি না দিয়ে তাদের ক্লায়েন্টের জন্য অভিজ্ঞ লোক পাঠাক। তারা কাগপত্র ঘেঁটে দেখুক, এটা আসলে কী? মামলা তো আমরা করিনি। এনবিআর থেকে আয়কর ফাঁকির মামলা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত লেবাররা মামলা করেছেন। নোবেলজয়ী বলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? এমন প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীতে এমন বহু নোবেল বিজয়ী আছেন, পরবর্তী তাদের কাজের জন্য কারাগারে আছেন (যেতে হয়েছে)।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবৃতির ফলে আদালত প্রভাবিত হবে কি না, স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে কি না?- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, পারবে না কেন? আদালত স্বাধীনভাবে চলেব। ভয় পেলে চলবে না। শ্রমিকদের পাওনা তাদের দিতে হবে। তিনি বলেন, এখন যদি জিজ্ঞেস করি, গ্রামীণ ব্যাংক কিন্তু সরকারি (নিয়মে চলে)। তাহলে সরকারি বেতনভুক্ত একজন কীভাবে বিদেশে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেন? কীভাবে তিনি এগুলো করেন?

আরও পড়ুনঃ  সবাইকে সতর্ক থাকতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

ব্রিকস সদস্যপদ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, চাইলে পাবো না, সে অবস্থা না। সব কাজেরই একটা নিয়ম থাকে। আমরা সেটা মেনে চলি। তারা আমাদের আগে থেকেই জানিয়েছেন, তারা ধাপে ধাপে নেবেন। পরে সদস্য সংখ্যা বাড়াবেন। আমরা জোর দিয়েছি, নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের বিষয়ে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না, সে অবস্থায় নেই। আমরা এখন বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার অবস্থানে নিয়ে গেছি। তারাও জানেন, বাংলাদেশ এখন ভিক্ষা চাওয়ার মতো দেশ না। বিরোধীদের মধ্যে হা-হুতাশ আছে। তাদের সময়ে বাংলাদেশ ভিক্ষা চাওয়ার মতো অবস্থায় ছিল, এখন নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের সঞ্চালনায় এতে অংশ নেন- মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন