শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গোপালগঞ্জ মেডিক্যাল নিয়ে বিস্তর অভিযোগ

হাসপাতালই যেন এডিসের বাসা

গোপালগঞ্জ মেডিক্যাল নিয়ে বিস্তর অভিযোগ

গোপালগঞ্জে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। আজ মঙ্গলবার ২৯ শে আগষ্ট নতুন করে আরো ২৬জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভতি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি আগষ্ট মাসের শুরু থেকে ২৯ তারিখ পযন্ত ৫৫৬জন ও গত জুন এবং জুলাই মাসে ৪৭৯জন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। সবমিলে গত ৩ মাসে ১০৩৬ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে গোপালগঞ্জ আড়াইশবেড হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছে ১জন ও সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৯৩৩জন। এবং হাসপাতালে ভতি রয়েছেন ১০৩জন।

বতমানে, গোপালগঞ্জ সদর আড়াইশবেড হাসপাতালে ভতি রয়েছেন ১৭জন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ১২জন, কোটালীপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ১৬জন, মুকসুদপুর উপজেলা হাসপাতালে ৪৩জন ও কাশিয়ানী উপজেলা হাসপাতালে ১৫জনসহ মোট ১০৩জন।

গোপালগঞ্জের সিভিল সাজন অফিসের তথ্যমতে চলতি আগষ্ট মাসে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভতি রয়েছে। যাহা গত জুন ও জুলাই মাসের চেয়েও বেশি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে গোপালগঞ্জ সিভিল সাজন ডা, নিয়াজ মোহাম্মাদ ও ডেঙ্গুর তথ্য প্রদানকারী ডাক্তার দিবাকর বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারা জানিয়েছেন, এর আগে গত ১৬ জুলাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গাউস সিকদার (৫৬) নামে এক ব্যক্তি গোপালগঞ্জ আড়াইশবেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বাড়ী বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার গাড়ফা গ্রামে।

জুন মাসের শুরু থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়ার পর থেকেই প্রতিদিন কেউ না কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভতি হচ্ছেন । আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা করে যাচ্ছি।

গত ৩ মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভতি হয়েছেন তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১জন, সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৯৩৩জন এবং বতমানে হাসপাতালে ভতি আছেন ১০৩জন। চিকিৎসকরা বলেছেন, রাজধানি ঢাকা-গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জের গামেন্টসসহ বিভিন্ন কল-কারখানার শ্রমিকদের বাড়ী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায়। ওই সকল এলাকা থেকে তারা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে গোপালগঞ্জে আসা-যাওয়া করেন। ফলে তারাই এ জেলায় ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। তবে, আশারবাণীও শুনালেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, বৃষ্টি কমলেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে যাবে। আমরা আশা করছি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম থেকেই ডেঙ্গু মশার উপদ্রব্য কমে যাবে।

আরও পড়ুনঃ  কর্মহীন-দুস্থ ৫০ পরিবার পেলেন ত্রাণ সামগ্রী

এদিকে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আড়াইশবেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেছেন, গোপালগঞ্জ আড়াইশবেড় হাসপাতালের চারপাশের নানান জায়গায় জমে থাকা ময়লা পানি জরুরী ও ডায়রিয়া ওয়াডের পাশে দুগন্ধযুক্ত ময়লায় ডেঙ্গু মশা জন্ম নিচ্ছে। নামে আড়াইশবেড হাসপাতাল হলেও কামে কিছু না। হাসপাতালটির পুরাতোন বিল্ডিংয়ের দোতলা ও চারতলা বিশিষ্ট নতুন বিল্ডিংয়ের সবগুলো ওয়াড ভতি ডেঙ্গুসহ নানান রোগে আক্রান্ত রোগী। তিল পরিমানের জায়গা না থাকার কারনে অভিভাবকরা রাত কাটাচ্ছেন যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে না ঘুমিয়ে।

যেখানে সেখানে পড়ে থাকা দুগন্ধযুক্ত ময়লার গন্ধ আর মশার ভ্যান ভ্যানানির শব্দ আর রাতভর বহিরাগত উশৃংখল যুবকদের পায়তারায় ঘুমানো থাকুক দুরের কথা বসেও থাকা যায়না। জরুরী কাজে নাস-আয়াদের ডাকলেও সময়মতো আসেন না।

হাসপাতালটির আরএমও ডা, ফারুক সপ্তাহে ৫/৬দিন থাকেন ঢাকায়। যে দুদিন তিনি হাসপাতালে থাকেন সেই দুদিন সাটিফিকেট বানিজ্যর কাজে ব্যস্ত থাকেন তিনি। সরকারী হাসপাতালে সরকার থেকে রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ঔষধ যাহা পাওয়া যায় তা রোগীদৈর কোন কাজে লাগেনা।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন