শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাউফলে মাদ্রাসার পরিচালকের বলৎকারের শিকার হয়ে ১২ বছরের শিশুর মৃত্যু!

বাউফলে মাদ্রাসার পরিচালকের বলৎকারের শিকার হয়ে ১২ বছরের শিশুর মৃত্যু!

পটুয়াখালী বাউফলের নাজিরপুর- তাঁতেরকাঠি ইউপির বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কাওমিয়া হাফেজিয়া ও নুরানী কিন্ডার গার্টেন মাদ্রাসা এবং এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মোঃ সেলিম গাজী’র (৪০) বলৎকারের (পাশবিক নির্যাতন) শিকার হয়ে আল রাফি (১২) নামের এক শিশু শিক্ষার্থী মারা গেছেন।শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার মহাখালী একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিশু শিক্ষার্থী মারা যান।

শিশুটির দাদা আবদুল আলী আকন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, ওই মাদ্রাসার পরিচালক সেলিম গাজী ৪-৫ মাস ধরে শিক্ষার্থী রাফিকে ফুসলিয়ে বলৎকার করে আসছিল।গত১৪-১৫ দিন আগে রাফি অসুস্থ হয়ে পরলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

রাফির বাবা রেজাউল করিম ছেলে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মহাখালী একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর তার মলদারে ক্যানসার ধরা পরে এবং তা রক্তে ছড়িয়ে পরে।

রাফি মহাখালী ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আজ শুক্রবার
(২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮ টায় মারা যায়। রাফি ওই হাসপাতালে ১২ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এঘটনায় রাফির বাবা রেজাউল আকন বলেন, আমার ছেলে রাফি অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই সেলিম গাজীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি কিন্তু তাঁরা কোন গুরুত্ব দেয়নি।আমার ছেলেকে কুরআন শিক্ষার জন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছি।আমি আইনের আওতায় ওর কঠিন বিচার দাবি জানাচ্ছি।

ঘটনার পর ওই মাদ্রাসার পরিচালক সেলিম গাজী গা ঢাকা দিয়েছেন।

নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মহাসিন বলেন, তিনি এ ঘটনা শুনেছেন।ওই এলাকার লোকজন হাফেজ সেলিম গাজীর কঠিন বিচার দাবি করছে এবং তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বহিস্কারের দাবি

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, বিষয়টি তিনি অবহিত নন।পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন