শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈশ্বরদীতে মোটর সাইকেল আরোহীর মৃত্যু

ঈশ্বরদীতে মোটর সাইকেল আরোহীর মৃত্যু

ঈশ্বরদীতে দ্রুত গতিতে চালানোর সময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুটির সাথে সজোরে ধাক্কা দেওয়ায় রোজিনা খাতুন (৩৪) নামে এক মোটর সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মোটর সাইকেল চালক মো. সোলেমান (২৫)।

বৃহস্প্রতিবার (২৪ আগষ্ট) সকাল ৮টায় ঈশ্বরদী-বানেশ্বর মহাসড়কের ঈশ্বরদী গালর্স স্কুল মোড় এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত রোজিনা খাতুন ঈশ্বরদী আলো জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র সেবিকা (নার্স) এবং আড়ামবাড়িয়া এলাকার মো. আফজাল হোসেনের মেয়ে। গুরুতর আহত সোলেমান ও আলো জেনারেল হাসপাতালের কর্মী ছিলেন।

আহত এবং নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর রাতে আলো জেনারেল হাসপাতালের আরেক কর্মী মোছা. ঋতু খাতুনের (২৪) প্রসব বেদনা ওঠে। স্বাভাবিক ডেলিভারীর জন্য পূর্ব থেকে নির্ধারিত সহকর্মী (রোজিনা) কে জানান ঋতু। তথ্যানুযায়ী রোজিনা ঋতুকে বাড়িতেই দেখবেন বলে অপেক্ষা করতে বলেন। রোজিনার আসতে বিলম্ব হবে ভেবে স্বামী সলেমানকে মোটর সাইকেল যোগে তাকে আনতে পাঠান ঋতু। প্রসূতি স্ত্রীর বেদনার কথা চিন্তা করে রোজিনাকে নিয়ে দ্রæত গতিতে শহরের রেলগেট বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাড়ীতে আসার পথে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুটিকে সজোরে আঘাত হানলে উভয়েরই মাথায় আঘাত লাগে। স্থানীয়রা অসুস্থ্য সলেমানকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। সলেমানের অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আলো জেনারেল হাসপাতালের হাসপাতালের স্তত্বাধীকারী ডা: মো. শামীম হেসেন বলেন, নিহত রোজিনা, ঋতু এবং লোকমান তিনজনই আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মী। তাদের মধ্যে রোজিনা সিনিয়র নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। লোকমান এবং ঋতু তারা স্বামী স্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ  কুমিল্লায় ইদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ ও মাহফিল

ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইনচার্জ অপু মন্ডল জানান, সকালে শহরের গালর্স স্কুল মোড়ে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনার একটি খবর পাই। ঘটনাস্থলে বৈদ্যতিক খুটির সাথে আঘাত লেগে মোছা. রোজিনা খাতুন নামের একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার বলেন, নিজেদের মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। তাই এ বিষয়ে মৃতের পরিবারের কোন অভিযোগ নেই। তাদের কোন অভিযোগ না থাকায় মৃতদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন