শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলায় নেই কাঙ্খিত ইলিশ

ভোলায় নেই কাঙ্ক্ষিত ইলিশ
  • কাঙ্খিত ইলিশ না পাওয়ার জন্য দায়ী ভারতীয় জেলেরা
  • মৎস্য অধিদপ্তর দায়ী করলেন জলবায়ুরকে

ভোলার মেঘনা, তেতুলিয়া এবং সাগড়ে জেলেদের জালে ধরা পরছে না কাঙ্খিত ইলিশ। যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে তাও আকারে খুবই ছোট ইলিশ। তেলের দাম দিয়ে ভাগিদারদের নিয়ে পুশিয়ে নিতে না পারায় হতাশ মাঝিমাল্লারা।

জেলেদের অভিযোগ ভারতীয় জেলেরা অবৈধ জালে ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশ ধরে নিচ্ছে। এছাড়া ৬৫ দিনের অবরোধকে দায়ী করলেন ব্যবাসয়ীরা। তবে সবকিছুর পরেও আশারবানী শোনাচ্ছেন মৎস্য অধিদপ্তর।

ভোলার সবচেয়ে বড় মাছঘাটটি হচ্ছে চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ। এই মাছঘাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাকডাকে মনে হচ্ছে নদী ও সাগড়ে প্রচুর রুপালী ইলিশ ধরা পরার কারনে জমে উঠেছে মাছঘাট গুলোর বেচাকেনা। তবে বাস্তবে এর চিত্র উল্টো। জেলার সবচেয়ে বড় মাছঘাট চরফ্যাশনের সামরাজ ঘাটে ইলিশের মৌসুমে কোটি কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি হত প্রতিদিন। যা এখন সব মিলিয়ে কয়েক লাখ টাকার ইলিশ বেচাকেনা হচ্ছে। মন্দের ভালো হচ্ছে গত ৩/৪দিন আগেও ছিলো ইলিশ শুন্য। সেই তুলনায় কিছুটা হলেও জেলেদের জালে ধরা পরছে কাঙ্খিত ইলিশ।

তবে এখানকার জেলেরা এনজিওর লোনের চাপ আর ধার দেনা করে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। তাইতো জেলে ইউসুফ, তাজুলসহ অনেকেই জানালেন,ক্ষোভ আর হতাশার কথা। তাদের মতে এখন ইলিশ মৌসুম। অথচ ইলিশের যে পরিমান জালে ধরা পরার কথা তার অর্ধেকটাও পাচ্ছে না। খরচ দিয়ে যে ইলিশ পাচ্ছে তাতে দিন চলছে না। খরচ দিয়ে ভাগিরা পাচ্ছে না কিছু। তার উপরে আবার এনজিও গুলোর রক্তচক্ষুতো রয়েছেই। রয়েছে তেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতীয় জেলেদের ট্রলিংবোর্ডে ছোট-বড় ইলিশ ধরে নেয়ার অভিযোগ। সাড়ে ৩ থেকে ৪লাখ খরচ করে সাগড়ে গিয়ে যা পাচ্ছে তাতে হতাশ জেলেরা। চিন্তার ভাজ কপালে, কতদিন দিতে হবে এমন লোকসান তা নিয়ে।

আরও পড়ুনঃ  শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে মৃত্যুঝুঁকি

৬৫দিনের অবরোধের সময় সিমানা নিয়ে রয়েছে জেলেসহ ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম ক্ষোভ। কারন অবরোধের সময় ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় ইলিশ ধরছে। মৌসুমের সময়টাতেও ভারতীয় জেলেরা ইলিশ ধরে নিচ্ছে বলে ক্ষোভ আড়ত মালিক সমিতির। এছাড়া চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ মাছঘাট আড়ত মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো: আলাউদ্দিন পাটোয়ারী বল্লেন, সরকারকে ভারতের সাথে সমন্বয় করে ৬৫ দিনের অবরোধটা দিতে হবে। একই সাথে ইলিশ রপ্তানীর ক্ষেত্রে সহজতর করার পাশাপাশি ভারতীয় জেলেরা যাতে ইলিশ ধরে নিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে দাবী তার।

এদিকে আশার বানী শোনালেন ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ। তার মতে কাঙ্খিত ইলিশ রয়েছে মেঘনা নদীতে। ডিম আসতে দেরি করা আর জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করে বল্লেন, এর কারনেই জেলেরা ইলিশ পাচ্ছে না। ছোট আকারে যা পাচ্ছে তা মুলত পুরুষ ইলিশ। পেটে ডিম আসলে তখনই মা ইলিশ গুলো মেঘনায় প্রবেশ করবে আর তখনই জেলেদের জালে ধরা পরবে। ১লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টণ ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন