ঢাকা | বৃহস্পতিবার
৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীর দাগনভূঞায় লাগামহীন বাজার, নেই তদারকি

দাগনভূঞা লাগামহীন বাজার, নেই তদারকি

বৃষ্টি এবং সরবরাহের ঘাটতির অজুহাতে ফেনীর দাগনভূঞা বাজারগুলোতে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সিলোনিয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটা সবজির দামই ১০০ টাকার ওপরে। তারা জানান, বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ২০০টাকা, টমেটো ২০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, গাজর ২০০ টাকা,পটল ৮০ টাকা,ককরোল ৮০ টাকা, লেবুর হালি ৩০ টাকা, করলা ২০০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০টাকা, ঢেঁড়শ ৮০ টাকা, কুমড়া ৭০ টাকা। এছাড়া এছাড়া প্রতি আটি পুঁই শাক ৪০ টাকা, কুমড়ার শাক ৩০-৪০ টাকা, লাল শাক ৪০ টাকা, কলমির শাক ৫০ টাকা এবং ডাটা শাক ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুধু সবজি নয়, দাম বেড়েছে আলু ও পেঁয়াজেরও। আগে ১৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) আলু এখন তিন কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। ১৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজের পাল্লা এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়, রসুনের দাম ১৮০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা করে সাধারন মানুষ কি খেয়ে বেচেঁ থাকবে। বর্তমানে প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা। তবে বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০-২০০ টাকা, লাল মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ব্যাপকহারে বেড়েছে চালের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৮০থেকে ৯০ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, আটাশ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, নবাব পাইজাম ৬০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজারে এখন প্রতি কেজি রূপচাঁদা ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, ইলিশ ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা, কোরাল ৯০০ টাকা, রুই ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পুঁটি ১২০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ টাকা, চিড়িং ৭৫০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাকা, শিং ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে কোনো কিছু কিনেই শান্তি নেই। মাছ, মাংস, সবজি থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম বাড়তি। বাজারে ৮০-৯০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যায় না।

সবজি বিক্রেতা আবু জাফর বলেন, টমেটো, গাজর, মরিচ, কাকরোল, বেগুনসহ বেশকিছু সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাজারে সবজির ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে সবজির প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে প্রায় ৬০-৭০ টাকা।

এদিকে সবজির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা। বাজার করতে আসা নাহিদুল ইসলাম বলেন, ৮০-৯০ টাকার নিচে তো কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা একটি বাজেট নিয়ে বাজার করতে আসি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সে বাজেটের তিন গুণ বেশি টাকা দিয়েও চাহিদামতো বাজার করা যায় না। সবজি কিনতেই ৫০০ টাকার বেশি খরচ হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন বাজারে এখন পর্যন্ত কোনো তদারকি নেই। যার যার ইচ্ছেমতো অবাধে বিক্রি করছেন শাক সবজি,মাছ-চাউল। দেখার কেউ নেই। যদি নিয়মিত তদারকি থাকতো তাহলে হয়তো এই সমস্যা থেকে সাধারণ জনগণ মুক্তি পেতো । তিনি আরো জানান বাজারগুলোকে তদারকির আওতায় আনা খুবই প্রয়োজন।

সংবাদটি শেয়ার করুন