শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোণায় কংস নদে ধান বোঝাই নৌকা ডুবে শ্রমিক নিখোঁজ

নেত্রকোণায় কংস নদে ধান বোঝাই নৌকা ডুবে শ্রমিক নিখোঁজ

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের কংস নদে ধান বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় রেজাউল ইসলাম ওরফে শিরমনি (৩০) নামে শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন।

সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মোহনগঞ্জ পৌর শহরের উত্তর দৌলতপুর এলাকায় বালু ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শিরমনি পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের উসমান গণির ছেলে।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে ময়মনসিংহ থকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী ইউনিটেন সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে নিখোঁজ মাঝিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে দুপুর দুইটা পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি।

নৌকা থেকে বেঁচে ফেরা শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নৌকায় মাঝিসহ মোট পাঁচজন ছিলেন। রাত তিনটার দিকে ঘাটে বাধা নৌকাটি তলা বিকট শব্দে ফেটে গিয়ে দ্রুত তলিয়ে যায়। এতে ঘুমন্ত চারজন নৌকা থেকে বেরিয়ে সাঁতরে তীরে উঠলেও শিরমনি নৌকার ভেতরে আটকা পড়ে যায়।

ঘটনাস্থলে থাকা মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক পিন্টু চন্দ্র দে জানান, স্টিল বডির নৌকাটিতে ২৫০ বস্তায় ৪৫৬ মণ ধান ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় দিরাই থেকে নৌকাটি ধান নিয়ে এসে মোহনগঞ্জ পৌরশহরের দৌলতপুর ঘাটে ভিড়ে। পরে রাত তিনটার দিকে বিকট শব্দে তলা ফেটে ডুবে যায়। এ সময় ভেতরে পাঁচ শ্রমিক ঘুৃমিয়ে ছিলেন। দ্রুত ঘুম ভেঙে চারজন সাতরে তীরে উঠলেও শিরমনি ভেতরে আটকা পড়ে যায়। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

নৌকা থেকে বেঁচে ফেরা শ্রমিক সেলিম মিয়া জানান, রাতে বৃষ্টি থাকায় আমরা ভেতরে ঘুমাচ্ছিলাম। তিনটার দিকে বিকট শব্দ হয়। শব্দে ঘুম ভেঙে যায়, দেখি নৌকা তলিয়ে যাচ্ছে। তখন যে যার মতো পারে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়েছে। তীরে উঠে দেখি শিরমনি নেই।

আরও পড়ুনঃ  এস কে সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড

ফায়ার সার্ভিসের ময়মনসিংহ স্টেশনের ডুবুরী দলের লিডার জমিয়ত আলী মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় বলেন, খবর পেয়ে সকাল পৌনে নয়টায় এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। দুই দফা নৌকার ভেতরে গিয়ে খোঁজ করে শিরমনিকে পাওয়া যায়নি। অভিযান চলমান আছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি বলেন, খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে নিখোঁজ ব্যক্তিসহ নৌকাটি উদ্ধারের ময়মনসিংহ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী ইউনিটের সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন