ঢাকা | বুধবার
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাউফলে গ্রাহকদের সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাৎ

বাউফলে গ্রাহকদের সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাৎ

পটুয়াখালীর বাউফলের বগা বন্দর পোস্ট অফিসের সাব-পোস্ট মাস্টার আবদুল ওহাবের বিরুদ্ধে শতাধিক গ্রাহকের সঞ্চয়পত্রের প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) এ অভিযোগ দেয়া হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বগা ইউনিয়নের বগা বন্দর পোস্ট অফিসে শতাধিক গ্রাহক মাসিক মুনাফায় ও ফিক্সড ডিপোজিট করে টাকা জমা রাখেন।সাব-পোস্ট মাস্টার আবদুল ওহাব গ্রাহকদের হিসেব বইয়ে জমা না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন। টাকা জমা রাখার সময় কোনো রকম রশিদ দেননি সাব-পোস্ট মাস্টার। তবে কাগজে তার সীল ও স্বাক্ষরিত টোকেন গ্রাহকদের দিয়েছেন।

সম্প্রতি গ্রাহকেরা তাদের মুনাফার টাকার হিসেব চাইতে গেলে গড়িমসি শুরু করেন সাব পোস্ট মাস্টার ওহাব। পরে গ্রাহকেরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাদের অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা জমা দেওয়া হয়নি।পুরো টাকাই সাব পোস্ট মাস্টার আত্মসাৎ করেছেন।

বগা ইউনিয়নের পুতুল রাণী নামের এক ভুক্তভোগী নারী বলেন, পরিবারের উপার্জনের প্রায় ৫ লাখ ৭০ হাজার সাধারণ মুনাফা হিসেবে জমা রাখি।পোস্ট মাস্টার সেই টাকা বইতে জমা না রেখে আত্মসাৎ করেন।টাকা জমা রাখার সময় তিনি আমাকে তার স্বাক্ষর ও সীলমোহর দিয়ে একটি টোকেন দিয়েছেন। সাতদিন পর নতুন বই দিবেন বলে জানান। পরে বই নিতে গেলেই আজ কাল পরশু দিবেন সময় নেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তিনি আমার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, টাকার জন্য তার সংসার ভাঙার পথে। এ নিয়ে প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। টাকা ফিরে পেতে আকুতি জানিয়েছেন ওই নারী।

একই ইউনিয়নের চাবুয়া গ্রামের নুর সাহেদার ৬ লাখ টাকা, রাজনগর গ্রামের সেতু রানীর ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ছায়া রানীর ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, সাবুপুরা গ্রামের রিজিয়া বেগমের দেড় লাখ টাকা ও লাইজু বেগমের ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন