শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে একজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

জয়পুরহাটে পৃথক দুটি মামলায় স্ত্রী-ছেলেকে হত্যায় রেজাউল করিম ভাদু নামে একজনের মৃত্যুদ-ের আদেশ এবং মামাকে হত্যার দায়ে ভাগ্নের যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছড়া মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরে কারাদ- দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ নুর ইসলাম এ রায় ঘোষনা করেন।

দ-প্রাপ্তরা হলেন, ক্ষেতলাল উপজেলার হাপানিয়া নয়াপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে রেজাউল করিম ভাদু ও সদর উপজেলার পশ্চিম পারুলিয়ার আব্দুর রহিমের ছেলে আলাউদ্দীন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার হাপানিয়া নয়াপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম ভাদুর সাথে (২০০৫ সাল অনুযায়ী) ১৫/১৬ বছর আগে আঙ্গুরী বিবি ওরফে সোনাভানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী আঙ্গুরীর সাথে রেজাউল করিম ভাদুর বনিবনা ছিলনা। এছাড়া তার নামে পূর্বের দুটি হত্যা মামলা ছিল। তাই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ২০০৫ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে তার স্ত্রী ও ৫ বছরের ছেলে হিটলারকে ধরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায় সে। পালিয়ে যাওয়ার সময় বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলা জিয়ানগর বাজাকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় আঙ্গুরী বিবির ভাই বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে ২০০১ সালের ১৮ মে রাতে সদর উপজেলার পারুলিয়া সাকিন এলাকার বাড়ি থেকে মামা আব্দুর রশীদকে গল্প করার জন্য বাহিরে ডেকে নিয়ে যায় যায় ভাগ্নে আলাউদ্দীন। সে রাতের কোন এক সময়  পূরানাপৈল রেললাইনের পাশে তাকে মারপিটের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন ভাগ্নে আলাউদ্দীনসহ অজ্ঞাত কয়েকজন। পরের দিন সকালে রেললাইনের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে জিআরপি পুলিশ। এ ঘটনায় ২৩ মে নিহতের স্ত্রী সান্তাহার জিআরপি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুনঃ  ফুলের রাজ্যে মন খারাপ

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন