গরু ও ভেড়া চড়াতে গিয়ে আকর্ষিক বজ্রপাতে ১৪ টি গরু, একটি ভেড়াসহ মোঃ সজিব হোসেন প্রামানিক (২৭) নামের এক খামারীর মৃত্যু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাবনা ঈশ^রদীর প্রত্যাঞ্চল ল²ীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরের চরমাদিরার চড়ে এই দূর্ঘটনা ঘটে।নিহত সজিব ল²ীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার মোঃ আলহাজ আলী প্রামানিকের ৩য় ছেলে। ল²ীকুন্ডা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ ইসরাইল হোসেন নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সজিবের পরিবার সুত্র জানান, তাদের গরু ও ভেড়ারা খামার রয়েছে। ঘটনার দিন সকালে খামারের ৪২ টি গরু ও ২০ টি ভেড়ার পাল নিয়ে প্রতিদিনের মতো কামালপুর চরমাদিরারচরে চড়াতে (ঘাস খাওয়াতে) নিয়ে যান সজিব। পদ্মানদীর কোল সংলগ্ন চরমাদিরার চড়ে গরু ও ভেড়াগুলোকে চড়াতে ছিলেন সজিব। সন্ধ্যার দিকে আকাশে প্রচন্ড ঘনমেঘ, বৃষ্টি ও উচ্চশব্দে বজ্রপাত দেখে মোবাইল ফোনে গরু ও ভেড়া নিয়ে সবিজকে দ্রæত বাড়িতে চলে আসতে বলা হয়। কিন্তু সজিব গরু ও ভেড়া নিয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় বৃষ্টির পরে লোকজনসহ চরমাদিরার চড়ে গিয়ে সজিবকে অচেতন ও ১৪ টি গরু ও একটি ভেড়াকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সজিবকে উদ্ধার করে দ্রæত ঈশ^রদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সজিবের বাবা মোঃ আলহাজ আলী প্রামানিক জানান, তাদের গরু ও ভেড়ার খামারটি সজিব দেখাশোনা করতো। সংসারের হাল ধরেছিলো। বিকেলে যখন বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয় তখন মোবাইল ফোনে তাকে বাড়িতে আসতে বলা হয়। কিন্তু আমার ছেলের আর বাড়ি ফেরা হলো না। তার দুটি অবুঝ মেয়ে রয়েছে। যার একজনের বয়স তিন বছর। আরেকজনের বয়স মাত্র এক মাস। এটা মেনে নেওয়া ও সহ্য করা খুবই কঠিন।
ঈশ^রদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, কামালপুরের চরমাদিরার চড়ে গরু ও ভেড়া চড়াতে গিয়ে খামারী সজিব হোসেন প্রামানিকসহ তার ১৪ টি গরু ও একটি ভেড়া মারা গেছে। বজ্রপাতে এই দূঘটনা ঘটায় দাফনের জন্য মরদেহ নিহতের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।