পবিত্র রমজান উপলক্ষে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই শতাধিক পরিবারে ইফতারসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে সামাজিক সংগঠন ইউনিক সোশ্যাল অর্গানাইজেশন (ইউএসও)।
বুধবার (২২মার্চ) এক অনারম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উপজেলার ১৩নং এবং ১১ নং ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সংগঠনের সদস্যরা উক্ত খাদ্যসামগ্রী অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেন। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে তেল, ডাল, ছোলা, খেজুর, মুড়ি, আলু ও পিয়াজের সমন্বয়ে প্যাকেট অসহায় পরিবারে পৌঁছে দেন ইউএসও’র সদস্যরা।
প্রবাসী বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সংগঠনের সভাপতি কামরুল হাসান জানান, সবার আর্থিক ও সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। ভবিষ্যতে যেন আরও বড় পরিসরে সমাজে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে যেতে পারি সেজন্য সবার দোয়া চাই।
এসময় তিনি সংগঠনের প্রবাসী সদস্য আলী হায়দার খাঁন, মামুন তালুকদার, মোঃ এরশাদ মিয়া, মোঃ আল আমীন, সুয়েব তালুকদার, মোতালেব আহমেদ, ফাহাদ আহমেদ, মোঃ মিজান, মোঃ জুয়েল ও রওশন আরা’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এছাড়াও সংগঠনের সবসময়ের শুভাকাঙ্খী প্রবাসী টিপু তালুকদার ও রাসেল আহমেদের প্রতিও আন্তরিক কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহ জুবেদ জানান, দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সংগঠনের সদস্যদের আন্তরিক সহযোগিতার কারণে আমরা এরকম প্রোগ্রাম করতে পেরেছি। বন্ধুদের আন্তরিক সহযোগিতার ফলে প্রতিবছর আমরা বিভিন্ন সাহায্য-সহায়তামূলক প্রোগ্রাম করে থাকি।
ইউএসও সদস্য কায়েছ আহমেদ খাঁন বলেন, সমাজের সচেতন নাগরিক হিসেবে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা এ কাজগুলো করে থাকি। এসব উদ্যোগের ফলে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বন্ধুদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হয়ে ওঠে। ফলে বন্ধুদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষা করার পাশাপাশি সমাজে অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে পারা বিষয়টি আমাদের মানসিকভাবেও ভালো রাখে। সুস্থ্য সংকৃতি বিকাশে এবং সুন্দর সমাজ গঠনে প্রতিটি নাগরিকেরই এভাবে এগিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি।
ইউএসও পরিচিতি: ইউনিক সোশ্যাল অর্গানাইজেশন (ইউএসও) নবীগঞ্জের রাগীব রাবেয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ২০১০-২০১২ সেশনের বন্ধুদের সামাজিক সংগঠন। যার মূল লক্ষ্য হল- সমাজের অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া। আর এই কাজ করে যাওয়ার মধ্যদিয়ে বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট রাখা।
২০১৭ সালে ১৩নং পানিউমদা ইউনিয়নে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করা এ সংগঠনে শতকরা ৯০ ভাগ অর্থায়নের মূল উৎস মূলত সংগঠনের সদস্যরা। প্রতিটি প্রোগ্রামে খুব সীমিত সংখ্যক শুভাকাঙ্খীদের থেকে আর্থিক অনুদান গ্রহন করা হয়। এছাড়াও কোন প্রকার ছবি বা নাম প্রকাশ না করে প্রতিটি প্রোগ্রামে অনারম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সাহায্য গ্রহীতার ঘরে সাহায্য পৌঁছে দেন এর সদস্যরা। করোনাকালীন সংকটে এবং সিলেটে বন্যাকালীন সময়ে জনসচেতনা বৃদ্ধি, খাদ্যসামগ্রী বিতরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে সংগঠনের সদস্যরা।
আনন্দবাজার/কআ