শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের পর্যটনকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে গঙ্গা বিলাস

গঙ্গা বিলাস রিভার ক্রুস বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পর্যটনশিল্পের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি দুই দেশের নদীব্যবস্থার শক্তিমত্ত্বা বিকাশের অনন্য, কেননা পর্যটন জনগণের সাথে মানুষের সম্পর্কের অগ্রগতির প্রান্তে রয়েছে। গঙ্গা বিলাসে পর্যটনের সম্ভাবনা দুই দেশের জনগণকে সংযুক্ত করার নতুন উপায়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটনকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীর হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

রিভার ক্রুজের এই আনন্দ যাত্রা নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এটা শুধু দুই দেশের পর্যটনের সম্ভাবনা উন্মোচন করার উপায় নয়, মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের একটি নতুন উপায়ও। নদীগুলো ঐতিহ্যগতভাবে ভারত ও বাংলাদেশকে সংযুক্ত করেছে। নদী ক্রুজটি সেই সংযোগকে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশের কিছু ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী স্থানের মধ্য দিয়ে রিভার ক্রুজ যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে জনাব, ভার্মা বলেন, ক্রুজটি এই স্থানগুলোকে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে নিয়ে আসবে। পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয় অর্থনীতিকে উপকৃত করবে। রিভার ক্রুজের সুন্দরবন প্রসারিত সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, এই ক্রুজ সুন্দরবনের ইকোট্যুরিজমের সম্ভাবনাও খুলে দেবে।

গঙ্গা বিলাস ৩২০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ বিশ্বের দীর্ঘতম নদী ক্রুজ, ৫০ দিনের দীর্ঘ যাত্রায় আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে আসছে। এটি ১৩ জানুয়ারি বারাণসী থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পতাকা উড়িয়ে উদ্বোধন করে ছিলেন। নদী ক্রুজটি পাস করবে প্রায় দুই সপ্তাহ। এ সময় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্য দিয়ে যাত্রা করবে।

গঙ্গা বিলাস নদী ক্রুজ শুক্রবার আন্টিহারায় বাংলাদেশে প্রবেশ করবে এবং আগামীকাল শনিবার মংলায় পৌঁছাবে। সেখানে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ চৌধুরী ক্রুজ সদস্যদের স্বাগত জানাবেন।

আরও পড়ুনঃ  নেত্রকোণায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নিহত, আহত দুই

গঙ্গা বিলাস’র যাত্রাপথে পড়বে ভারত এবং বাংলাদেশ মিলিয়ে মোট ২৭টি নদনদী।
এই তরীতে রয়েছে পর্যটকদের মনোরঞ্জনের ঢালাও আয়োজন, গানবাজনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থার পাশাপাশি রয়েছে শরীরচর্চা, রূপচর্চার কেন্দ্রও।

বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীতে একবারে ৮০ জন যাত্রীর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। নদীর বুকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রমোদতরীতে আলাদা স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রমোদতরীর ভেতরে রয়েছে মোট ১৮টি কেবিন। এতে এলইডি টিভি থেকে শুরু করে সাজানো শৌচাগার, বারান্দাসহ থাকছে আরও অনেক কিছু।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন