কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে হিমেল হাওয়ায় পৌষের মাঝামাঝিতে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে নাকাল অবস্থা জনজীবনে। সব থেকে চরম বিপদে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। গত শনিবার সকাল ৯ টায় এ উপজেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়া রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েক দিন থেকে এ অঞ্চলে গভীর রাত থেকে বৃষ্টির মতো গুড়িগুড়ি কুয়াশা পড়ছে। মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও কাহিল হয়ে পড়েছে হাঁড়-কাঁপানো শীতে। ফলে বিকালের পর থেকে আবারও বাড়ছে শীত। ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন শিশু ও বয়স্করা। এ দিকে হাঁড়-কাঁপানো ঠান্ডায় খর-কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষজন।
উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান ও নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষাফেরুষা গ্রামের মন্টু চন্দ্র রায় জানান, প্রচন্ড শীতের কারণে বোরো বীজতলা ও আলুসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা আশংকা করছেন।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, গত শনিবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে দেশের উত্তরের জনপথে মৃদু অথবা মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।