শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাব্যসংকটে মহারশী এখন মরাখাল

নাব্যসংকটে মহারশী এখন মরাখাল

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে ঐতিহ্যবাহী একটি বড় বাজার। বাজারটিতে সব ধরনের কৃষিপণ্য সহ গরু ছাগল ও মহিষের বেচাকেনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়।

এ নদী দিয়ে দূর দূরান্ত থেকে নৌকাযোগে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বাজারে নিয়ে আসতো। এছাড়াও নৌকাযোগে বহু লোকজন চলাচল করতো এ নদী পথে। নদীর পানি দিয়ে উভয় পাশে জমিতে বোরসহ নানা জাতের কৃষি ফসল ফলানো হতো। তবে, নদীটি এখন নাব্যতা হারিয়ে পানি শূণ্য হওয়ায় নদীর উভয় পাশের জমি আর নদীর পানিতে চাষাবাদ হয় না। নদীটি নাব্যতা হারানোর ফলে বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি ও ভারি বর্ষণের পানি নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না। যে কারণে নদীর উভয় পাড় ভেঙে ফসলি জমিতে বন্যার পানি প্রবাহিত হয় এবং নদীর পাড়ের বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়।

চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে বন্যার সময় বন্যায় বহু বাড়ি-ঘর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নদীর পাড় ভেঙে ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই উক্ত নদীটির নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে জরুরিভাবে ড্রেজিং এর মাধ্যমে নদীটি পুনঃখনন করে নদী পূর্বাস্থায় ফিরিয়ে আনা জরুরি।

প্রকাশ থাকে যে এ মহারশী নদীটি ভারতের আসাম ও মেঘালয় থেকে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করেছে। মহারশি নদিটি ঝিনাইগাতি উপজেলা দিয়ে প্রবেশ করে শেরপুর জেলার মধ্য দিয়ে ব্র‏হ্মপুত্র নদে যুক্ত হয়েছে। নদীর পূর্বের ঐতিহ্য হারানোর ফলে এক দিকে যেমন কৃষি উৎপাদনে ক্ষতি সাধন হয়েছে তেমনি বাজার উন্নয়নেও ব্যপক বাধাগ্রস্ত হয়েছে। নদীটি নাব্যতা হারানোর ফলে কৃষি ও বাণিজ্যিকভাবে ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। নদীটি বর্তমানে নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  রামেকে আরও ৭ জনের প্রাণহানি

সংবাদটি শেয়ার করুন