শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) –তে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে পিআইবি সেমিনার কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, আমরা অলস জাতি হওয়ার কারণে গণহত্যার আন্তর্জাতিক পাওয়ার চিঠিতে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস ছিল যেগুলো সংরক্ষন করা হয়নি। অনেকের আত্বীয় স্বজন থাকায় অপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। সেসময় বেশী যুদ্ধ হয়েছে ভূরুঙ্গামারীতে।
তিনি বলেন,৭৫ পরবর্তীতে সাংবাদিকরা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে লিখতেন এবং অনেকেই গুপ্তচরে জড়িত ছিলেন। যারা ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে তরুণ সংঘ ঘটিত হয়েছিল যা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন সাংবাদিক লেখালেখি করেন নি।
শহিদ পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা তরুণ তপন চক্রবর্তী বলেন, আমার ভাই শহিদ সাংবাদিক শীব সাধু চক্রবর্তী পদার্থ বিজ্ঞানের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাবা শিক্ষককে হত্যা করা হয়। দুই বোনকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ৭৫ থেকে ৯৫ পর্যন্ত তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোন খোঁজ নেওয়া হয়নি।
পিআইবি শহীদ সাংবাদিক কর্ণার নির্মান করায় ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ শিক্ষকদের স্বরণে পিআইবিকে গবেষণা করার অনুরোধ জানান।
সেমিনারের বিশিষ্ট আলোচক সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমাদের ইতিহাস বিকৃতির পালা শুরু হয়। সারাদেশে অনেক শিক্ষক মারা গেছেন তাদের খবর রাখা হয়নি।
তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীদের তালিকার জন্য কমিটি করা হয়েছে যাদের এখনো মানদণ্ডই ঠিক হয়নি। ৫১ বছরে এখনো তাদের তালিকা করা হয়নি। বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশের অনুরোধ জানাই। দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান প্রতিবেদক আবু তালেবকে পাকিস্তানের নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক সালাম জুবায়ের, শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা, সলিমুল্লাহ সেলিম, ড. হারুন রশীদ, আসাদুজ্জামান, সাজ্জাদ হোসেন, তাপস রায়।
পিআইবির সহকারী প্রশিক্ষক নাসিমূল আহসান সমন্বয়ে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, পিআইবির গবেষণা বিশেষজ্ঞ ড.কামরুল হক, ফিচার বিভাগের সহকারী সম্পাদক শাহেলা আক্তার, প্রকাশনা বিভাগের সহকারী সম্পাদক দুলাল কৃষ্ণ আচার্য প্রমুখ।