শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস------

বিজয়ের মাসেও উত্তোলন হয় না পতাকা

বিজয়ের মাসেও উত্তোলন হয় না পতাকা

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে নানা অনিয়মের মধ্যে দিয়ে চলছে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কার্যক্রম। এমন কি মহান বিজয়ের মাসেও সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে উত্তোলন করা হয়না জাতীয় পতাকা। প্রতিষ্ঠানের মূল ভবনের চার পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নোংরা করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত দলিল সৃজন ও সেবা নিতে অসংখ্য মানুষ এখানে আসছেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের এ পরিস্থিত দেখে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

সাধারণ মানুষ মনে করছেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের উদাসীনতার কারণে এখানে হচ্ছে ভুয়া দলিল সৃজনের অপচেষ্টা, সাব-রেজিস্ট্রার ভবনের আশপাশে যত্রতত্রভাবে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা, পানি নিস্কাশনের ড্রেনে ময়লা জমে সৃষ্টি হচ্ছে দুর্গন্ধ। এছাড়া এখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। এমনকি বিজয়ের মাসেও পতাকা সাটাতে দেখা যায়নি। তারা বলছেন, সঠিক তদারকি করা হলে এ প্রতিষ্ঠানে এসব অনিয়মের বিষয়গুলো পুনরাবৃত্তি হতো না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীণ দলিল লিখক বলেন, কিছুদিন আগেও জাল জালিয়াতি করে একটি দলিল সৃজনের অপচেষ্টা করার অভিযোগে আব্দুর রশিদ মৃধা লিটন (সনদ নং-১৪৭) নামে এক দলিল লিখকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাব-রেজিস্ট্রার ওই দলিল লেখককে তার খাস কামরায় আটকে রেখে রহস্যজনক কারণে কিছুক্ষণ পর তাকে ছেড়ে দেন। অপরদিকে দলিল লিখক সমিতি তার সনদ বাতিলের সুপারিশ করে। চলতি বছরের মাঝামাঝি দিকে সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট দলিল লিখকরা কলম বিরতির ডাক দেন। পরে শ্রীনগর ইউএনও (তৎকালীন) প্রণব কুমার ঘোষের মধ্যস্থতায় আপোষ মিমাংসা হয়। এছাড়াও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে কার্যদিবসের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না।

আরও পড়ুনঃ  ‘স্বাস্থ্য খাতের মান বেড়েছে বলেই মানুষের সাহস বেড়েছে’

গত সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়েও তার সত্যতা মিলেছে। দেখা যায়, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের মূল ফটকের পাশে বাঁশ থাকলেও তাতে নেই জাতীয় পতাকা। ভবনের মূল ফটকের দক্ষিণদিকে অফিনের ভাঙাচুরা চেয়ার টেবিল ফেলে রাখা হয়েছে। তার পাশেই ড্রেনে ময়লা পরে দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা পানি জমেছে। ভবনটির দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অথাৎ সেপটি ট্যাকিংর পাশে রীতিমত গড়ে তুলা হয়েছে ময়লার ভাগাড়। এ পরিস্থিতিতে অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস দলিল লিখক ও ভেন্ডার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ সিকদারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাল জালিয়াতি করে দলিল সৃজনে অপচেষ্টাকারী দলিল লিখকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে সুপারিশ করেছি। প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করা প্রসঙ্গে তিনি এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রার মোসাম্মৎ রেহেনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দেখে পতাকা সাটানোর জন্য বলছি। উল্লেখিত অন্যান্য বিষয়ে জানতে চাইলে কাজে ব্যস্ততার কথা বলে এড়িয়ে যান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন