শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নন্দীগ্রামে হানাদারমুক্ত দিবস পালন

নন্দীগ্রামে হানাদারমুক্ত দিবস পালন

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ৫১তম হানাদারমুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার শিফা নুসরাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শফিউল আলম ছবি ও শাহজাহান আলীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা জাসদের সভাপতি একেএম রেজাউল করিম তানসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ¦ মোসলেম উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী, ওয়াসিম উদ্দিন, সোলাইমান আলী, কফির উদ্দিন, মফিজ উদ্দিন প্রমুখ।

একাত্তরের ১৩ ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম হানাদারমুক্ত হয়। ডেপুটি কমান্ডার বদিউজ্জামান মন্টু, টিম কমান্ডার আজিজুল হক, সিরাজুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীরসহ আরো কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে ৯ ডিসেম্বর নন্দীগ্রামে প্রবেশ করে ৩ দফায় যুদ্ধের কাজ শুরু হয়। ১১ ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার মন্ডলপুকুর সিএন্ডবির ব্রিজের পাশে থেকে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসরদের ওপর আক্রমণ করে। ওই দিন রণবাঘা বড় ব্রিজের কাছে স্থানীয় রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। অপরদিকে বেলঘরিয়ায়ও হানাদার সেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা থানা আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ২০০ পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারের সঙ্গে লড়াই করেন। ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার ও রাজাকারদের হটিয়ে নন্দীগ্রাম হানাদারমুক্ত করে স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উড্ডয়ন করেন।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  হবিগঞ্জে আগুনে পুড়ে গেছে ১০ দোকান

সংবাদটি শেয়ার করুন