শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পতাকা বিক্রির এক দশক

পতাকা বিক্রির এক দশক

ফজলুর রহমানের বয়স ৫০ বছরের বেশি। তার দুই হাতে রয়েছে দুটি বাঁশের কাঠি, ওই বাঁশের কাঠির মধ্যে নিচ থেকে উপর পযর্ন্ত সাজানো আছে ছোট বড় লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা, সঙ্গে রয়েছে পতাকার আদলে ছোট আকারের ব্যান্ডেস আর স্টিকার। তিনি বাজারের অলিগলি পথে প্রান্তরে হাক ডাক দিয়ে পতাকা বিক্রি করছেন। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজার মোটরস্ট্যান্ড এলাকায়। তিনি বাঁশের কাঠির মধ্যে জাতীয় পতাকা সাজিয়ে পায়ে হেটে হাঁক ডাক দিয়ে বিক্রি করছেন। পতাকা বিক্রিতেই চলে তার জীবন জীবিকা।

ফজলুর রহমান জানান, তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মহান বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্কুল-কলেজ, হাট-বাজারে জাতীয় লাল সবুজের পতাকা ফেরি করে বিক্রি করছেন। অন্য অনেক পেশার সুযোগ থাকলেও দেশ প্রেমের টানেই তার এ পেশাকে বেছে নেওয়া বলে জানান তিনি। পতাকা বিক্রেতা ফজলুর রহমানের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাইশমোজা গ্রামে। তার পরিবারে স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৪ মেয়ে  রয়েছে।  অভাবের সংসারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। পতাকা বিক্রয়ের অর্থ দিয়েই চলে তার সংসার।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি পতাকা বিক্রি করতে আখাউড়ায় আসেন। এরপর তিনি পায়ে হেটে শহরের অগি গলি, স্কুল কলেজের সামনে পতাকা বিক্রি করছেন।

তিনি বলেন, মহান বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে দোকানপাট, অনেকেই বাড়ির ছাদ, মোটরসাইকেল, রিকশায় পতাকা উড়াতে চায়।  বিনম্র শ্রদ্ধ ও ভালোবাসা জানাতে অনেকেই জাতীয় পতাকা ক্রয় করছেন। 

আরও পড়ুনঃ  সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরছেন আজ

পতাকা বিক্রেতা ফজলুর রহমান বলেন, তার কাছে কয়েক ধরনের পতাকা রয়েছে। ছোট পতাকা ২০ টাকা, মাঝারি ধরনের ৫০ টাকা আর বড় সাইজের ৩শ টাকায় বিক্রি করছেন। এছাড়াও রয়েছে জাতীয় পতাকা সম্বলিত মাথায় বাধার বেল্ড, ছোট হাতের জাতীয় পতাকা, কাগজের পতাকা এবং গালে ও কপালে আটকানো স্টিকার ১০ টাকায় বিক্রি করছেন।

পতাকা ক্রয় করতে আসা ইকবাল হোসেন বলেন, আগামী শুক্রবার ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, তাই ছেলের জন্য ছোট আকারের একটি পতাকা ও একটি স্টিকার কেনা হয়। ছেলে পতাকা ও স্টিকার দেখে খুবই খুশি হবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন