শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপরূপ চরবিজয়, ঘুরতে গিয়েছেন কী

অপরূপ চরবিজয়, ঘুরতে গিয়েছেন কী

লাল কাঁকড়ার ছুটোছুটির সঙ্গে অতিথি পাখির কলকাকলি। দিগন্তজোড়া আকাশ আর সমুদ্রের নীল জলরাশি আছড়ে পড়ছে সৈকতে। সাদা গাংচিলের দল এদিক-ওদিক উড়ছে

  • পাখি-লাল কাঁকড়ায় বিমোহিত পর্যটক

পটুয়াখালীর দক্ষিণ উপকূলে গত কয়েক দশকে জেগে উঠেছে বেশ কিছু চর। এসব চরের সৌন্দর্যও অপরূপ। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠা বিশাল সম্ভাবনাময় নতুন আর এক চর হলো চরবিজয়। প্রায় ১০ হাজার একর আয়তন নিয়ে জেগে ওঠা এ চরটি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত। লাল কাঁকড়ার অবাধ ছুটোছুটি আর অতিথি পাখির কলকাকলি। দিগন্ত জোড়া আকাশ আর সমুদ্রের নীল জল রাশি আছড়ে পড়ছে কিনারায়। এছাড়া সাদা গাংচিলের দল এদিক-ওদিক উড়ে যাচ্ছে।

মানুষহীন এ চরে মানুষের উপস্থিতি টের পেলেই লাল কাঁকড়ার দল ছুটে পালিয়ে যায় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। গর্তে লুকিয়ে থেকেও উঁকি দিয়ে পর্যটকদের গতিবিধি লক্ষ্য করে কাঁকড়াগুলো, যা বিমোহিত করে পর্যটকদের। ইতোমধ্যে দৃষ্টি কেড়েছে পর্যটকদের। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে চরটির সন্ধান পাওয়ায় এর নাম রাখা হয় ‘চরবিজয়’। আর এ চরে প্রতিদিনই আগত পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছে একনজর দেখতে।

সৈয়দ কিশোর নামে এক পর্যটক জানান, চরটি পাখি ও লাল কাঁকড়ার দখলে থাকা একটি দ্বীপ, যে কোনো মানুষকে এটি মুগ্ধ করবে। কুয়াকাটায় এসে যদি চরবিজয়ে না যাওয়া হয় তবে অপূর্ণতা থেকেই যাবে।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এ চরের সন্ধান পাওয়া যায়। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে এর নাম রাখা হয় ‘চরবিজয়’। এরপর থেকেই কুয়াকাটায় আগত পর্যটক, স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মানুষ চরবিজয়ে যান। তবে সরকার যদি এ দ্বীপকে ঘিরে পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ নেয় তবে এটি কুয়াকাটার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে।

আরও পড়ুনঃ  স্বেচ্ছাশ্রমে কাপাসিয়ায় দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দিল ছাএলীগ

কুয়াকাটা পর্যটন ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক রুমি শরিফ জানান, উপকূলীয় এলাকার দ্বীপ ও চর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদেরও দৃষ্টি দরকার। যদি সি-বোটসহ আধুনিক জাহাজে এসব চর ঘুরে দেখার সুযোগ তৈরি করা যায় তবে তা দ্রুত সেন্টমার্টিনের মতো জনপ্রিয়তা পাবে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘চরবিজয়’ বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রের আওতায় রয়েছে। যদিও চরটিতে এখন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বসবাসের উপযোগী হয়নি। তবে ওখানে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে স্পীডবোট চালু রয়েছে। পাশাপাশি ট্রলারে মাধ্যমে পর্যটকরা যাচ্ছে। এটাকে আরও ডেভেলপ করার জন্য আমরা কাজ করছি যাতে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন