চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা সদর হাসপাতালের বেহাল অবস্থা ছাদ চুইয়ে পড়ছে বৃষ্টির পানি। সংস্কার করা হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে ছাদ থেকে পানি চুইয়ে পড়ে হাসপাতালের আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি রুমে ছাদের প্লাষ্টার খসে পড়ছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীদের স্থাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত ঘটার এবং যে কোনো মুহুর্ত্বে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন নার্স বলেন, বিগত বর্ষার সময় প্রায় কয়েকটি রুমের ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়েছে। এরপরেও হাসপাতালের সংস্কার কাজ করা হয়নি। যথাসময়ে সংস্কার করা একান্ত জরুরি হয়ে পড়েছে অন্যতায় স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত এবং হাসপাতালের আসবাব পত্র নষ্ট হয়ে যাবে বলে জানান উক্ত কর্মরত নার্সরা।
জানা যায়, বিগত ১৯১৮ সালে কর্ণেল অলি আহমদ বীর বিক্রমের প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট চন্দনাইশ হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ২৭ মে হাসপাতালটি সম্প্রসারণ করে ৫০ শয্যা উন্নীত করা হয়। এরপর হতে তেমন কোনো ধরনের সংস্কার কাজ করা হয়নি। যার কারণে অবকাঠামো দূর্বল হয়ে পড়ার কারণে প্লাষ্টার খসে ও বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়ছে বলে জানান কর্মরত ডাক্তার এবং নার্সরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ফজলুল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ হলেই সংস্কার কাজ করা হবে।