শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদকসেবনের প্রতিবাদ করায় ৫ জনকে কুপিয়ে জখম

মাদকসেবনের প্রতিবাদ করায় ৫ জনকে কুপিয়ে জখম

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদকসেবন করে উশৃঙ্খলতার করার প্রতিবাদ করায় একই পরিবারের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ, নারী, শিশুসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। শুক্রবার ২ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় উপজেলার বরমী ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের (দাইবাড়ির) টেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে হামলার ঘটনায় পরিবারের পক্ষে শিমুল হোসেন বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলো একই গ্রামের জিন্নত আলীর স্ত্রী শামসুন্নাহার (৬৫), ছেলে জসিম (৫৫), জসিমের ছেলে সুজন (২১) ও নাঈম (২৮), জসিমের স্ত্রী নুরুন্নাহার (৪৬) ও তার ছেলে রাজু (২৫)।

আহতরা হলেন, উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দাইবাড়িটেক গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে আব্দুল মালেক (৭০), তার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৬০), ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৩৭), উজ্জল হোসেন (৪৫), উজ্জল হোসেনের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৪২), মেয়ে নিপা আক্তার (১৪), তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী সুমি বেগম (৩৫), ছেলে শিমুল হোসেন (১৭)। আহতদের মধ্যে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত আব্দুল মালেক ও উজ্জ্বলকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। আহত অন্যান্যরা শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। 

মামলার বাদী শিমুল হোসেন জানান, অভিযুক্ত জসিম ও তার সহযোগীরা বনবিভাগের জায়গা দখল করে ছাপড়া ঘর উঠায়। ওই ঘরে তাদের ৫/৬জন সহযোগী দিন ও রাতের বেশিরভাগ সময় মাদক সেবনসহ উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে উশৃঙ্খলতা করে। এসবের প্রতিবাদ করলে জসিম ও তার সহযোগীরা শুক্রবার ২ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় আব্দুল মালেকের বাড়িতে প্রবেশ করে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ আব্দুল মালেক এবং তাঁর স্ত্রী মাজেদা বেগমসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাদেরকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত আব্দুল মালেক ও উজ্জ্বলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার ৬দিন পরও অভিযোগটি মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় আসামীরা উল্টো তাদরেকে ভিটে ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। 

আরও পড়ুনঃ  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘অ্যান্টি র‌্যাগিং স্কোয়াড ও কমিটি’ গঠনের নির্দেশ

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন আলী খান জানান, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ওইদিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষের প্রস্তাব দিলে উভয় পক্ষ মিলত না হওয়ায় বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, গত বুধবার স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। আঘাত গুরুতর হলে ঘটনার বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন