তারা সংখ্যায় হাতে গোনা সাত জন। সকলেই পেশায় ফল বিক্রেতা। বছরের পর বছর ধরে সড়ক দখল করে ফল ব্যবসা করে চলেছেন। তবে বাজারের নির্ধারিত কোনো দোকান ঘরে নয়, বরং সড়ক জুড়ে ফলের পসরা বসিয়ে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মণিরামপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র থানা এবং প্রেসক্লাব ভবনের মধ্যবর্তী স্থান যশোর-সাতক্ষারী মহাসড়ক লাগোয়া মাছ বাজারে প্রবেশ রাস্তা জুড়ে গড়ে তুলেছেন ফল বাজারটি। জালঝাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের, সিরাজুল, হাকোবা গ্রামের মনা, রবিন, জামাল, খোকন ও পাঁচু এই সড়ক জুড়েই ফল ব্যবসা করে চলেছেন। এই ৭ জনের বাইরেও মতিয়ার, আকবার, রাজু, রমজান, তুষারও ঘর নিয়ে ব্যবসা করলেও রাস্তায় টেবিল বসিয়ে ফলের স্তুপ করে সড়কটি দখলে রেখেছেন। কেবলমাত্র নিরুপায় পথচারী এবং ক্রেতারা।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, মাঝে মধ্যে প্রশাসন এদের উচ্ছেদ করলেও তা মাত্র ২/৫ দিনের বেশি নয়। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সড়কজুড়ে কথিত এফল বাজারটিতে যারা ব্যবসা করছেন। তাদের খুঁটির জোর কোথায়?
ফল বিক্রেতা কাদের ও খোকন জানান, এখানে বসে ব্যবসা করি তাই প্রতিদিন ৫০ ও ৩০ টাকা করে ইজারা দিতে হয়। রাস্তার জায়গার ইজারা কে নেন এমন প্রশ্ন করতেই কাদের খোকন আশপাশে খেয়াল করে মুখ বন্ধ করে রাখেন। কথিত এ ফল বাজারটি যশোর-সাতক্ষীরা সড়ক ঘেষে। মাছ ও কাচাঁবাজারে প্রবেশ করতে নির্ধারিত পাঁকা সড়কটি জুড়ে কথিত ফল বাজারটি গড়ে উঠেছে। এ সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল এমনকি কোনো ক্রেতা পায়ে হেঁটে প্রবেশ করতে চাইলেও ঝুকি নিয়ে চলতে হয়।
এ ব্যাপারে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবীর হোসেন পলাশ জানান, বিষয়টি আগামী আইনশৃংখলা মিটিং এ উত্থাপন করা হবে। সকলের মতামতে ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।