ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লেপ তোষক বানাতে ব্যস্ত কারিগররা

লেপ তোষক বানাতে ব্যস্ত কারিগররা

দিনে কিছুটা গরম থাকলেও রাতে বেশ ঠান্ডা পড়ায় পাবনার ঈশ্বরদীতে লেপ তোষক বানানোর কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষক, বালিস, কোল বালিস ও জাজিম তৈরিতে। শীতের আগমনি বার্তায় প্রতিটি পরিবারে শীত মোকাবেলায় লেপ তোষকের চাহিদা বেড়ে যায়। শীত মৌসুমে গ্রাম অঞ্চলে বিয়ের ধুম পড়ে যায়। গ্রাম্য সংস্কৃতি অনুযায়ী নতুন কনের সাথে লেপ, তোষক, জাজিম, বালিশ, কোল বালিশ সহ বিভিন্ন সামগ্রী উপহার হিসেবে দেওয়ার রেওয়াজ ও রয়েছে অত্র অঞ্চলে।  যার ফলে সব মিলিয়ে ব্যস্থ সময় পার করছেন ঈশ্বরদীর এই কারিগররা। উত্তরাঞ্চলের জেলা পাবনার ঈশ্বরদীতে শীত মৌসুমে এ অঞ্চলে তুলনামূলক শীতের প্রভাব বেশী থাকে। শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্ততি হিসেবে লেপ তোষক বানানোর কাজ শুরু হয় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকেই।

উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে লেপ – তোষক বানানোর প্রায় শতাধিক  কারিগর রয়েছেন। যারা মালিকদের লেপ তোষক তৈরির অর্ডার অনুযায়ী কাজ করে থাকেন। জাজিম, লেপ ও তোষক তৈরির মজুরী হিসাবে তাদের ভাগ্যে জোটে ছোট-বড় অনুযায়ী প্রতিটি সিঙ্গেল লেপ ১৫০ টাকা ও ডাবল ২০০ টাকা । তোষক প্রতি ১৫০-২০০ টাকা এবং জাজিম তৈরিতে ৫০০ টাকা।

পাবনা ক্লাথ স্টোর এন্ড বোর্ডিং সেন্টার এর স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলম জানান, একটি লেপ তৈরীতে সময় ব্যায় হয় ২ থেকে ৩ ঘন্টা। আকার ও মানবেদে সিঙ্গেল লেপ ৮০০ থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত দাম হয়ে থাকে এবং ডাবল মান ও প্রকারভেদে ১২০০ থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।  ঝুটের তৈরি সিঙ্গেল তোষকের দাম ৭০০ থেকে শুরু করে ৯৫০ টাকা পর্যন্ত এবং ডাবল ১১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৯০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। বর্তমানে কেজি প্রতি শিমুল তুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা। এবছর জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি জিনিসের উপর গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি লাগছে একটি ৬০ থেকে ৭০ কেজি ওজনের জাজিম তৈরি করতে গড়ে সময় প্রয়োজন হয় পাঁচ ঘন্টা।  তুলার তৈরি জাজিম সর্বনিম্ন মূল্য তিন থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং নারিকেলের ছোপার তৈরি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম পড়ে থাকে।

শীতের আগমনি বার্তায় লেপ তৈরি করতে ঢাকা বোডিং হাউস নামের একটি দোকানে এসেছেন পৌর এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন সুমন। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি জানান, শীতকে প্রাধান্য দিয়ে আগেই এসেছেন লেপ তৈরি করাতে। তার ধারণা শীত জেঁকে বসলে কারিগররা আরও বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। এজন্য তিনি আগেই এসেছেন লেপ তৈরি করাতে। পাবনা ক্লাথ স্টোর এন্ড বোর্ডিং সেন্টার এর কারিগর  জানান, কিছু দিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে সে সময় আরও কাজ  বেশি হবে তার ধারণা।

সংবাদটি শেয়ার করুন