শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শীতের পদধ্বনি---

শিশির ভেজা ভোর

শিশির ভেজা ভোর

ছবি দেখে পুরাদস্তুর শীতকাল মনে হলেও বাংলা পঞ্জিকায় ২৪ কার্তিক। ঋতু রাজে যা হেমন্তকাল। রাতের আঁধার কেটে ভোরের আলোর মাধ্যমে প্রকৃতি পেয়েছে একটি নতুন দিন। পাখিদের কিচির মিচিরের মধ্য দিয়ে আকাশ আলো করে জেগে উঠেছে সূর্য। কৃষকের ফসলি জমি ছেয়ে গেছে সবুজের সমারোহে। ফসলি জমির সবুজ আর ঘাস, গাছ-পালার ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু সকালের প্রকৃতিতে এক অপরূপ সৌন্দর্য।

এ শিশিরসিক্ত সবুজ ঘাস ও লতা-পাতা যেন জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। মাঠে মাঠে শিশিরে ভেজা ঘাস আর কুয়াশা ঢাকা পথে উত্তরে হাওয়া জানান দিচ্ছে আসছে শীত। প্রকৃতির পালাবদলে হেমন্তের সাথে সাথেই আসছে শীতের আগমন। কার্তিক মাসের বৃষ্টির পর প্রকৃতিতে লেগেছে শীতের হাওয়া। সন্ধার পর থেকে অনুভূত হচ্ছে শীত শীত ভাব। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত বাড়তেই গ্রামাঞ্চলে হালকা কুয়াশা পড়ছে। শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে আবহাওয়া।

গতকাল বুধবার ভোর থেকেই দেখা মেলে কুয়াশাচ্ছন্ন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা। দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক যানবাহনকে দেখা গেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে। সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশা দেখা গেছে পুরো উপজেলায়। কুয়াশা ঢাকা ভোরে উপজেলার পৌর সদর বাজার এলাকায় লোকজন ভোরে শরীর চর্চা করতে বের হন।

যদিও দিনে চলছে কোথাও রোদ আবার কোথাও মেঘ বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা। শেষ রাতে শীতে গা শির শির করে উঠছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে নাঙ্গলকোটের চারদিকে। সবুজ ঘাস ও গাছের পাতায় জমছে শিশির কণা। গাছে গাছে এখনো ফুটছে বকুল, শিউলিসহ নানা ফুল। মাঠে মাঠে বেড়ে উঠছে সবুজ ধান।

আরও পড়ুনঃ  করোনায় ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৪৯

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ও বৃষ্টির পর থেকে ভোর রাতে হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। দৃশ্যমান হচ্ছে ঘন কুয়াশা। যারা ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন তারা দেখতে পাচ্ছেন কুয়াশার বুকচিরে ভোরের সূর্যোদয়। বিকেলের নীল আকাশের ক্যানভাসে খেলা করছে থোকা থোকা সাদা মেঘের ভেলা। মিষ্টি রোদের খেলা চলছে সকালটায়। সন্ধ্যা গড়িয়ে মধ্যরাত নামার আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে চারপাশটা। দিনে গরম, রাতে হিমালয়ের কুয়াশার শীতল হাওয়া আর ভোর রাতে ঘন কুয়াশার হাতছানি বলে দিচ্ছে শীত বেশি দূরে নয়। দিনের বেলা সূর্যের আলোর দেখা মিললেও দিন দিন তাপমাত্রা কমছে। এতদিন যারা হালকা বা পাতলা কাপড় গায়ে জড়িয়ে বের হতেন তারা এখন শীতের ভারী কাপড় পরতে শুরু করেছেন।

বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হঠাৎ বুধবার ভোরে যে কুয়াশা পড়েছে। তেমনটি আগে কখনও দেখা যায়নি। বৃষ্টির মতন কুয়াশা ঝরতে দেখা যাচ্ছে। শীত আসতে খুব বেশি দেরী হবে না বলেই মনে হচ্ছে।

যানবাহন চালকরা জানান, আজকে সকালে ঘণ কুয়াশায় ঢেকে যায় পুরো এলাকা। সামনে কিছুই দেখা যায় না। এতে চলাচল করতে অসুবিধা হয়েছে। ভোর থেকে কুয়াশা পড়ায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। সাধারণত এ মাসে কুয়াশা পড়ে। কিন্তু আজ বেশি কুয়াশা দেখা যাচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন