শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃৎশিল্পিদের পেশা বদল

মৃৎশিল্পিদের পেশা বদল
  • প্লাস্টিকের দখলে বিলুপ্তি

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্প মৃৎশিল্প। যা এক সময় মানুষের ঘরে ঘরে শোভা পেতো। তবে, সময়ের বিবর্তণে হারিয়ে যেতে বসেছে এ শিল্প। এখন আর হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থনে আগের মত দেখা যায়না। মাটির পণ্যের বদলে প্লাষ্টিক ও এলোমিনিয়ম পণ্য বেশি ব্যবহার হওয়ায় এ শিল্প হারাচ্ছে তার জৌলুস। যার কারণে যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে।

উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নে পালপাড়া এলাকা। যেখানে ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবারের কয়েকশ মানুষ যুগ যুগ ধরে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলো। যাদের কর্মের মাধ্যেমে এ শিল্পের বিভিন্ন সামগ্রী দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সরবরাহ করা হতো। তবে, সময়ের বিবর্তনে আগের মত এ শিল্পের কদর না থাকায় মাত্র ৮ থেকে ১০টি পরিবার এ পেশায় জড়িত রয়েছে। এখনও এ পরিবারগুলো সারাবছর মাটির হাড়ি-পাতিল, ঢাকনা, কলস, ফুলের টবসহ নানা উপকরণ তৈরি করে কোনো ভাবে টিকে আছে।

চলিশিয়া ইউনিয়নে পালপাড়ার মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, প্লাষ্টিক ও এলোমিনিয়াম সহজলভ্য হওয়ায় এখন মাটির তৈরি পণ্য প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। পাশাপাশি দিন দিন বাড়ছে কাঁচামালের খরচ। এতে বাড়তি খরচ ও বাজারের চাহিদা না থাকায় পেশা বদলে বাধ্য হচ্ছি আমরা। তারা আরও বলছেন, সরকারিভাবে সকল সহযোগিতা পেলে অভয়নগরে আবারও হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাহ উদ্দীন বলেন, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা যদি আগ্রহী হয় তবে তাদের প্রশিক্ষণ ও ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

আরও পড়ুনঃ  এলডিপির কাছে গাড়ি ও টাকায় বিক্রি বিএনপির কমিটি

উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর বলেন, প্লাষ্টিক ও এলোমিনিয়ম পণ্য বাজার দখল করেছে। এ ক্ষেত্রে তারা কিভাবে আবারও এ শিল্পকে পুণর্জীবিত করতে পারে, আবার তাদের পণ্য বাজারে সরবরাহ করতে পারে এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা দরকার। এছাড়া আমাদের পক্ষে যতটুকু সহযোগিতা করা সম্ভব আমরা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করবো।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন