শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশু ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

শিশু ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলভয় ৬ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চারজনকে ৮ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল (পিপি) ফরিদ আহমেদ।

মত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস (পলাতক), শেখ শাহাদাত হোসেন (পলাতক), রাব্বি হাসান পরশ, মো. মাহামুদ হাসান আকাশ, কজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম, (পলাতক) ও  মিম হোসেন।

এছাড়া এ মামলার অপর চারজন আসামি অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ায় তাদেরকে ৮ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, নুরুন্নবী আহমেদ, মঈন হোসেন হৃদয়, মোঃ সৌরব শেখ ও মোঃ জিহাদুল কবির দিহান। এছাড়া পর্ণগ্রাফী আইনে আসামি নুরুন্নবী আহমেদকে আরও ৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার এজহারে বর্ণিত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দুইদিন আগে আসামি মোরশেদুল ইসলাম শান্তর সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। ওই সূত্র ধরে আসামি ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মোবাইল ফোনের মধ্যমে ভিকটিমকে ডেকে নেয় শান্ত।

সাহেবের কবর খানায় উভয় এক সাথে মিলিত হয়। সেখান থেকে ভিকটিমকে নেওয়া হয় মামলার অপর আসামি নুরুন্নবীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বিহারী কলোনীর ভাড়া বাড়িতে। পরে ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে শান্ত। শান্তর ভিডিওটি ধারণ করে উপিস্থিত অন্যান্যর। পরে ভিকটিমকে ধারণকৃত ওই ভিডিওটি দেখিয়ে ভয়ভীতি দিয়ে অন্যান্যরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরেরদিন বড়বোন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ৯ জন আসামির নাম উল্লেখ মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  ভাপা পিঠার কদর বেড়েছে

সংবাদটি শেয়ার করুন