চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরাসভার ২নং ওয়ার্ড বলাখাল দীঘির পশ্চিম পাড়ে অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তার জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বলাখাল বাজার হইতে দক্ষিণ বলাখাল-প্রতাপুর ডাকাতিয়া নদী খেয়া ঘাট সড়কের দিঘীর পশ্চিম পাড়ে এ ভবনটি নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। পৌরসভার রাস্তা দখল করে অপরিকল্পিত ভাবে ভবন নির্মাণ করে আসলেও দেখার যেনো কেউ নেই। পৌরসভার ভবন নির্মাণ আইনের নিয়ম ভঙ্গ করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। জনবহুল বলাখাল গ্রামের ১ এবং ২নং ওয়ার্ডের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির মূল অংশ ঘেঁষে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করছেন বলাখাল গ্রামের মনশা বাড়ি সংলগ্ন গাজী বাড়ির শামা গাজীর ছেলে মমিন গাজী।
মমিন গাজীর নির্মাণাধীন ভবনটির টাংকটি পৌরসভার রাস্তার উপর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ভবিষ্যতে রাস্তা প্রস্তকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে না। এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এ রাস্তাটি রক্ষায় দিঘীর পাড়ে পৌরসভার অর্থায়নে স্থায়ীভাবে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়। পৌরসভার নির্মাণ করা গাইড ওয়ালের উপর এ ভবনটি নির্মাণ কাজ চলছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-১ শাখা’র ২০১৭ সালের ২২ জুনের প্রজ্ঞাপনে ১৯৯৬ সালের ইমারত নির্মাণ বিধিমালা তফসিল-১ অনুযায়ী ভবন নির্মাণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সকল কাগজ এবং নকশা প্রণেতার যথাযথ যোগ্যতা এবং পৌরসভার মাস্টার প্ল্যানের সাথে সাংঘর্ষিক কিনা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সকল কিছু পরীক্ষা করে সরেজমিনে পরিদর্শন করে লে-আউট প্ল্যানের অনুমোদন প্রদান করার কথা থাকলে এক্ষেত্রে মানা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।
মমিন গাজী প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভয়ে এলাকায় কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। এ বিষয়ে মমিন গাজী বলেন, আট নয়বার মাপজপ করার পর ভবনের কাজ শুরু করেছি। এছাড়াও পৌরসভার প্লান অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।
পৌরসভার রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ করা প্রসঙ্গে পৌর ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাউদ্দিন মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এক হাত ছেড়ে কাজ করতে পারতো। এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ার যে প্লান দিয়েছে, সে প্লান অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ার বিষয়টি তদারকি করার দরকার ছিলো।
পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী ইদ্রিস মিয়ার মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে পরে কথা বলবেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।