শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ --

৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট!

৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট!

এবার ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশের আগে ৩৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ১০ নভেম্বরের মধ্যে মহাসড়কে তিন চাকার যান বন্ধের দাবি জানিয়ে তারা বলেছে, দাবি মানা না হলে পরদিন সকাল ৬টা থেকে ১২ নভেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত ৩৮ ঘণ্টা সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে। গতকাল সোমবার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়ে সংগঠনটির নেতারা এ দাবি জানান। পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, বিএনপি নেতারা বলছেন, গণসমাবেশে নেতা-কর্মীদের জনস্রোত ঠেকাতে সরকারের ইন্ধনে পরিবহণ ধর্মঘট ডেকেছে কতিপয় মালিক শ্রমিক নেতারা। তবে পরিবহন নেতাদের দাবি, ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।

এর আগে একই দাবিতে খুলনা, রংপুর ও বরিশালে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগের দিন ও সমাবেশের দিন পরিবহন ধর্মঘট পালন করেন স্থানীয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা।

জানা গেছে, মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়ে সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের মাধ্যমে জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর এই চিঠি দেন।

ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ২৯ মে’র সভার ১৩ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে। না হলে ১১ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৬টা থেকে ১২ নভেম্বর শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ফরিদপুর জেলা বাস টার্মিনাল থেকে আঞ্চলিক বাস ও মিনিবাসসহ দূরপাল্লার পরিবহনের সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

আরও পড়ুনঃ  ইয়াবা না পেয়ে বেধড়ক পিটুনি

এব্যাপারে ফরিদপুর মাহেন্দ্র শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম বলেন, তাঁরা মহাসড়কের সব অংশে মাহেন্দ্র চালান না। ফিডার রোডে ঢোকার জন্য যতটুকু ব্যবহার করতে হয়, ততটুকু করেন। বাসওয়ালারা কেন এসব দাবি করেন, তার মানে বোঝেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। আমরা রাজনীতি বুঝি না, আমরা বাঁইচা থাকার রাজনীতি করি।’

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন বলেন, বিগত বিএনপির সমাবেশগুলোতে আমরা এ নাটক দেখেছি। সরকারের প্ররোচনায় বাস মালিক সমিতি বাস ধর্মঘট ডেকেছে। তবে কোনো ধর্মঘট ডেকে বিএনপির মহাসমাবেশ বন্ধ করা যাবে না। নেতাকর্মীরা যেভাবেই পারুক মহাসমাবেশে যোগ দেবে এবং সমাবেশকে সফল করবে। এদিকে, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিবহণ ধর্মঘটের সম্পর্ক নেই জানিয়ে বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি জুবায়ের জাকির বলেন, গত দুই মাস আগে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলা মিলে আমরা একটি সভার মাধ্যমে জানিয়েছিলাম মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, নসিমন, করিমন বন্ধ না করা হলে ধর্মঘট আহবান করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মাসে খুলনা ও মাদারীপুরে আমরা একটি মিটিং করেছি। সেই সময়ে আমরা বলেছি মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধ না করা হলে নভেম্বর মাসের ১১ এবং ১২ তারিখ সকল প্রকার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন