শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমুদ্র স্নানে কুয়াকাটায় রাস উৎসব সম্পন্ন

সমুদ্র স্নানে কুয়াকাটায় রাস উৎসব সম্পন্ন

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় পূন্যাস্নানের মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হয়েছে রাস উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে জাগতিক সকল পাপ মোচনের আশায় কুয়াকাটার সমুদ্রে গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করেন হিন্দুধর্মালম্বীরা।

স্নানের আগে সৈকতে মোমবাতি, আগরবাতি, বেল পাতা, ফুল, ধান, দুর্বা, হরিতকী, ডাব, কলা, তেল ও সিঁদুর সমুদ্রে জলে অর্পন করে সনাতনী নারীরা। এসময় উলুধ্বনি ও মন্ত্র পাঠে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সৈকত। এ ছাড়া মাথা ন্যাড়া সহ প্রায়শ্চিত্ত ও পিন্ডদান করেন অনেক মানতকারীরা। এর আগে রাতভর কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে পূজা অর্চনা, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও মহানাম কীর্তনে মেতে ওঠে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পটুয়াখালী ৪ আসনের সাংসদ অধ্যক্ষ মোঃ মুহিব্বুর রহমান মহিব উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রখ্যাত শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশনা দর্শকদের দর্শকদের আনন্দিত করে। পরে অধিবাসের মধ্য দিয়ে মূল ধর্মীয় উৎসব শুরু হয়ে মঙ্গলবার সকালে সমুদ্র স্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

রাস পূজা আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, সৈকতের পাড়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনায় বসবেন তারা, পূন্যার্থীরা সাগরকে সামনে রেখে নির্জনে কৃষ্ণপূজার সঙ্গে দেবতার নীল কমল আর গঙ্গাদেবীর আরাধনায় মগ্ন হয়েছেন।

কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশে নিরাপত্তায় কঠোর ছিলাম আমরা। আমাদের প্রায় ৪শত ৪৩ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত ছিল। আজকে সকালে রাসমেলার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও আমরা সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপত্তা বহাল রাখবো।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস

সংবাদটি শেয়ার করুন